বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জিএন ন্যশানাল পাবলিক স্কুলের (G.N. National Public School) অনলাইন ক্লাসে নাউন বোঝানোর জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের পোস্টে পাকিস্তান (Pakistan) নিয়ে গর্ব করার উদাহরণ দেওয়া হয়েছিল। চতুর্থ শ্রেণীর অনলাইন পড়াশুনার সময় শিক্ষিকা শাদাব খানম এরকম বিতর্কিত কাজ করে বিপাকে পড়লেন। উদাহরণ এতটাই আপত্তিজনক ছিল যে, সেটিকে পাকিস্তানের পক্ষে বাচ্চাদের ব্রেইন ওয়াশ করার ষড়যন্ত্র বলে গণ্য করা হয়েছে।
শিক্ষিকা শাদাবের এহেন আচরণে অভিভাবকেরা প্রতিবাদ করে। আর এর ফলে ওই শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করা হয়। শিক্ষিকা নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য এটিকে ভুল করে করা একটি কাজ বলেছেন। প্রসঙ্গত, লকডাউন আর করোনার সঙ্কটের মধ্যে বেশীরভাগ বেসরকারি স্কুলেই অনলাইনে পড়াশুনা করানো হচ্ছে। আর এর জন্য বহু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বানানো হয়েছে। শুক্রবার এরকমই একটি গ্রুপে জিএন ন্যশানাল পাবলিক স্কুলের শিক্ষিকা চতুর্থ শ্রেণীর বাচ্চাদের ইংলিশ শেখান।
শিক্ষিকা শাদাব নাউন শেখানোর জন্য একটি ম্যাসেজ করেন। আর এরপর ওই পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। জানা যায় যে, ওই শিক্ষিকা পাকিস্তানের নানান তথ্য বাচ্চাদের সামনে তুলে ধরছিলেন। শিক্ষিকা নিজের মোবাইল থেকে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে পিডিএফ ফাইল পাঠাচ্ছিলেন। আর সেখানে পাকিস্তানের নানান তথ্য ছিল।
উনি ওই গ্রুপে লিখে পাথিয়েছিলেন, ‘আই উইল জয়েন পাক আর্মি।” আরেকটি পোস্টে উনি লিখেছিলেন, ‘পাকিস্তান ইজ আওয়ার হোম ল্যান্ড।” আরেকটি উদাহরণে উনি পাকিস্তানের পাইলট রাশিদ মিনহাস এর বীরত্ব নিয়ে গর্ব করেন।
ওই পিডিএফ ফাইল গুলো যখন অভিভাবকেরা দেখেন, তখনই তাঁরা এই বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে একটি লিখিত অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠায়। অভিভাবকেরা অভিযোগ করে বলেন যে, ওই শিক্ষিকা বাচ্চাদের মধ্যে দেশ বিরোধী মানসিকতার বীজ বপন করতে চাইছেন।
আপনাদের জানিয়ে দিই, ওই গ্রুপে ৪০ থেকে ৫০ জন পড়ুয়া ছিল, যাঁদের পাকিস্তান সম্বন্ধ্যে ভালো কথা পড়িয়ে ব্রেইন ওয়াশ করার চেষ্টা করছিলেন ওই শিক্ষিকা। অভিভাবকদের অভিযোগের পর স্কুল কর্তৃপক্ষ কড়া পদক্ষেপ নিয়ে ওই শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করে। এবং এই মামলার তদন্তের আশ্বাস দেয়।