বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে রাজ্যে একাধিক দুর্নীতির পর্দাফাঁস হয়েছে। সক্রিয় দুই তদন্তকারী সংস্থা ইডি-সিবিআই (ED-CBI)। চলছে ডাকাডাকি, জিজ্ঞাসাবাদ। তবে কেন্দ্রীয় সংস্থা তলব করার পর যদি কেউ হাজিরা না দেন, সে ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করতে পারে ইডি? সেই নিয়ে অগাধ কৌতূহল সাধারণ মানুষের। ইডি নাকি সোজাসুজি গ্রেফতারও করতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথাও উঠে এসেছে। তবে প্রশ্ন উঠছে সত্যিই কী তলবে সাড়া না দিলেই গ্রেফতার করা সম্ভব? এবার এই প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস (Ex CBI Officer Upen Biswas)।
এক প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমের কাছে সাক্ষাতকারে সিবিআই-এ প্রাক্তন কর্তা বলেন, “ইডি (Enforcement Directorates) কী পদক্ষেপ করবে সেই বিষয়ে আমরা বলতে পারি না। সাধারণত কোনও মামলার জন্য সেই মামলার সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছেন বা সেই বিষয়ে কিছু জানেন তাদের তলব করার ক্ষমতা রয়েছে।”
তবে পুলিশের থেকে যে ইডি অনেক বেশি ক্ষমতাধারী সেকথা সাফ জানান তিনি। উপেন বিশ্বাস বলেন, ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদে যা বলা হবে, সেটাই কোর্টের কাছে গ্রহণযোগ্য, আলাদাভাবে ইডিকে আদালতে কোনও প্রমাণ দিতে হয় না। ইডি যাকে তলব করবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যেতে হবে। তবে যদি কেউ না যায় তাহলে কী হতে পারে?
আরও পড়ুন: আর যাওয়া হল না দিল্লি! ঝাড়খণ্ডে ব্যাপক দুর্ঘটনার কবলে তৃণমূলের বাস, আহত বহু
এই বিষয়ে প্রাক্তন সিবিআই কর্তা বলেন, কোনও কারণে সেই ব্যক্তি একবার না গেলে ফের তলব করতে পারে ইডি। তিনিও ইডির কাছে সময় চাইতে পারেন। আবার তদন্তের প্রেক্ষিতে ওই ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালাতে পারে ইডি। পাশাপাশি ইডি মনে করলে মামলার সঙ্গে যুক্ত আছেন এমন ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করতে পারে। অর্থাৎ গ্রেফতার করার ক্ষমতা অবশ্যই ইডির রয়েছে।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী ৩ অক্টোবর তলব করেছে ইডি। যদিও দিল্লিতে তৃণমূলের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী থাকার কারণে অভিষেক ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। আবার অন্যদিকে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ইডি কড়া নির্দেশ দিয়ে বলেছেন ৩ তারিখের জিজ্ঞাসাবাদ যাতে কোনও ভাবেই ব্যাহত না হয়। এবার অভিষেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলবে সাড়া না দিলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয় ইডি সেটাই দেখার।