দিঘা,পুরী ভুলে যান! কলকাতার কাছেই আছে ৭০০ পাহাড়ে ঘেরা ঘন বন, মনে হবে যেন বিদেশে এলেন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে শীতের পথচলা। মিষ্টি এই আবহাওয়ায় অনেকেই চাইছেন কয়েকটা দিনের জন্য ঘুরে আসতে কোথাও থেকে। এই সময়টাতে অনেকেরই আবার পছন্দ পাহাড়। কিন্তু পাহাড় বলতে আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে দার্জিলিং কিংবা সিকিমের ছবি। এই সমস্ত পাহাড়ি  টুরিস্ট স্পটে জন অরণ্যে পা ফেলা দায়।

একসাথে ৭০০ পাহাড় :

তাছাড়াও অনেকেই এই জায়গাগুলিতে যেতে যেতে ক্লান্ত। তাই অনেকেই এমন কিছু অফ বিট পাহাড়ি জায়গার সন্ধানে থাকেন যেখানে অপেক্ষাকৃত মানুষের কোলাহল কম বা একটু অচেনা। আপনারা কখনো শুনেছেন এমন কোনও জায়গা যেখানে একসাথে রয়েছে ৭০০ টি পাহাড়? শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এটা কিন্তু সত্যি।

আরোও পড়ুন : হুগলির দুই গ্রামে যেন অকাল দিপাবলী! সন্তানরা সুরঙ্গ থেকে বেরোচ্ছে শুনেই মা বাবারা যা করলেন….

জায়গাটির অবস্থান : 

এই জায়গাটি বিদেশে অবস্থিত নয়। আমাদের কলকাতার খুব কাছেই রয়েছে এমন জায়গা। এই জায়গায় গেলে আপনারা প্রকৃতির এই অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। আমরা কথা বলছি ঝাড়খণ্ডে পশ্চিম সিংভূমের ৭০০ টি পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত সারন্দা বন (Saranda forest) সম্পর্কে।

আরোও পড়ুন : নাম-রঙ বদলে ফেলায় টাকা দেয়নি কেন্দ্র! এবার ৮০০ কোটি চেয়ে চিঠি পাঠাল নবান্ন

নজরকাড়া দৃশ্য:

এখানে না আসলে আপনারা বিশ্বাস করতে পারবেন না প্রকৃতি কতটা পরিমান উচ্চস্তরের শিল্পী। প্রতিবছর বহু পর্যটক এখানকার চাইবাসায় রুংটা গার্ডেনে আসেন চড়ুইভাতি করতে। ঝাড়খণ্ডের চাইবাসা থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সারন্দার ঘন জঙ্গল। এই জঙ্গল গড়ে উঠেছে ৮২০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে। এখানে প্রকৃতির এক অদ্ভুত কীর্তি আপনার নজর কাড়বেই।

reflection

যাওয়া, থাকার ব্যবস্থা:

এছাড়া এইখানে গিয়ে আপনারা ঘুরতে যেতে পারেন কিরিবুরু। কিরিবুরু পাহাড়ের সানসেট আপনাকে মুগ্ধ করবে। এখানে এত পরিমাণ পাহাড় অবস্থিত যে আপনি গুনে শেষ করতে পারবেন না। এখানে থাকার জন্য রয়েছে বন বাংলো বা গেস্ট হাউস। এই জায়গায় আপনারা ট্রেন পথে সহজেই আসতে পারেন। ট্রেন পথে গেলে আপনাকে নামতে হবে বারবিল স্টেশনে। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে আপনি যেতে পারবেন কিরিবুরু।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর