টোটো চালকের প্রেমে হাবুডুবু, সোনাদানা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন বাগদার দুই গৃহবধূ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : টোটোচালক বলে কি মন নেই! তারাও পারেন ভালোবাসতে। বাগদায় একই পরিবারের দুই বউকে মন দেওয়ার পর এমন কথাই উঠে এলো তাদের মনে। এ যেন কিছুদিন আগেই ঘটে যাওয়া ‘রাজমিস্ত্রীর হাত ধরে জা’য়েদের পালানো’ ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার বাগদায় সংসার ছেড়ে দুই টোটোচালকের সঙ্গে পালিয়ে শিরোনামে ফের একই পরিবারের দুই গৃহবধূ। এই ঘটনায় বাগদা থানার আন্দুলপোতা ও সিন্দ্রানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়াল । দুই গৃহবধূকে বাড়িতে ফিরে আসার আবেদন জানালেন বৃদ্ধ শ্বশুর শিবুপদ পাল। ইতিমধ্যেই পরিবার থানায় দ্বারস্থ হয়েছে ৷

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সিন্দ্রানি এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মণ্ডল এবং শিবু মজুমদার নামের দুই টোটোচালক সিন্দ্রানি টোটো স্ট্যান্ডে যাত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করেন৷ পাশাপাশি শিবুর সিন্দ্রানি বাজারে একটি চালের দোকান রয়েছে। টোটোয় যাতায়াতের সূত্রেই কয়েক বছর আগে পালবাড়ির মেজ ও ছোট বউ মিঠু পাল ও পবিত্রা পালের সঙ্গে তাঁদের পরিচয় হয় । পরিবারের লোকেরা সেসব আঁচ করতে না পারলেও ধীরে ধীরে গভীর প্রেম তৈরি হয় তাঁদের মধ্যে।

জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে ননদের বাড়ি যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল দু’জন। ছোট বউ আবার ছেলেকেও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। আর ফিরে আসেননি। পরে দেখা যায়, সোনার গয়না ও বেশ কিছু টাকাপয়সাও নিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, টোটোচালক বিশ্বজিৎ মণ্ডল ও শিবু মজুমদারের নিজস্ব সংসার ও একটি করে কন্যাসন্তান রয়েছে। দুই বন্ধুর এহেন কাণ্ডে ক্ষুব্ধ তাঁদের স্ত্রীরা।

বাড়ির বউরা চলে যাওয়ার পর বৃদ্ধ শ্বশুর জানালেন, “বড় ছেলে পরিবার নিয়ে বাইরে থাকে৷ মেজো ছেলে ছোট ছেলে পুণেতে এক নির্মাণ সংস্থায় কাজ করে৷ মেজো ও ছোট ছেলের বউ ও নাতিদের নিয়ে তাঁর সংসার। মেজো ছেলের বছর ২২ আগে বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের দুই ছেলে রয়েছে। ছোট বউয়ের বিয়ে হয় ১০ বছর আগে। তাঁর একটি ৫ বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে।”

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর