বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভুয়ো ভ্যাকসিন কান্ডে জেরবার গোটা বাংলা। দেবাঞ্জনকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে একদিকে যখন এই মামলা নিয়ে সরগরম বঙ্গ, তখন অন্যদিকে খোঁজ মিলল এক ভুয়ো সিবিআই (CBI) আধিকারিকের। ঠিক দেবাঞ্জনের মত করেই, অন্যদের ঠকাতো এই শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
হাওড়ার জগাছার বাসিন্দা শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছেও ছিল নীলবাতি লাগানো গাড়ি। সেই গাড়ি করে ঘুরে কখনও সেনা অফিসার, তো তখন IRS আধিকারিক, তো আবার কখনও সিবিআই আধিকারিক হিসেবে নিজের পরিচয় দিতেন। সেইসঙ্গে চাকরী দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েও নিতেন।
নিজেকে CBI-র স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসাবে পরিচয় দিয়ে ঠিক দেবাঞ্জনের মত করেই বহু মানুষকেই চাকরী দেওয়ার টোপ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছে শুভদীপ। তবে তদন্তে জানা গিয়েছে, কলকাতায় CBI-র স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরের কোনও পদই নেই। এমনকি সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের বিভিন্ন নথিতে সই করে সিলও দিয়েছে শুভদীপ, যা দেখে তাজ্জব হয়ে গেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
নিজের সব কুকীর্তি ধরা পড়তেই, দোষ শিকার করে এক সংবাদ মাধ্যমকে শুভদীপ জানায়, ‘আজাদ হোসেন, সন্তোষ কুমার (১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা), নরেশ কুমার (১ লক্ষ ৩০ লক্ষ টাকা) নামে তিনজনকে চাকরী দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা হাতিয়েছে শুভদীপ। সেইসঙ্গে জানিয়েছে, বিহারের বাসিন্দা লালন নামে এক ব্যক্তির থেকেও সে ৭৫ হাজার টাকা নিয়েছিল। এই লালনই নাকি তাঁকে এই ভুয়ো কাজে সাহায্য করত বলেও জানিয়েছে শুভদীপ। তবে সাহায্য করলেও, লকডাউনের দোহাই দিয়ে নিজের অফিস কখনও লালনকে দেখায়নি শুভদীপ।