বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আসন্ন লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election)। হাতে মাত্র কিছুদিনের সময়। বর্তমানে লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ময়দানে নেমে পড়েছে সকল রাজনৈতিক দল। শাসক থেকে বিরোধী জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। সকলেরই নজর প্রধানমন্ত্রীর কুর্সির দিকে। এই আবহেই রবিবার উত্তমমঞ্চে তৃণমূল সমর্থক আয়োজিত ফ্যাম কনক্লেভে উঠল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) প্রধানমন্ত্রী (Next PM) হিসেবে দেখার দাবি।
এদিন অনুষ্ঠান কেঁপে ওঠে ‘বলছে বাংলার জনতা, প্রধানমন্ত্রী হোক মমতা’ এই স্লোগানে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস থেকে শুরু করে কুণাল ঘোষ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়রা। অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে অরূপ বিশ্বাস বলেন, “বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই অত্যন্ত কঠিন লড়াই। এরা শুধু সাম্প্রদায়িক দল নয়, এরা এক দেশ-এক দল-এক নেতায় বিশ্বাস করে। একমাত্র তাদের রাজনৈতিক দলই ভারতবর্ষে থাকবে। এছাড়া কোনও রাজনৈতিক দল ভারতবর্ষে থাকবে না।”
মন্ত্রীর অভিযোগ, “ওরা নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ পদ্ধতি চেঞ্জ করে দিচ্ছে। ওরা সবকিছু চেঞ্জ করে দিচ্ছে। ওরা চেষ্টা করছে ভারতবর্ষকে করায়ত্ব করতে। অনেকেই তাদের দেখে পিছিয়ে গিয়েছে। অনেকেই ভয় পেয়েছে তবে কেবল মমতা বন্দোপাধ্যায় ব্যতিক্রম যিনি ওদের কাছে মাথা নত করেননি। লড়াই চলছে ইন্ডিয়া তৈরি হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এক হয়েছে। অনেকে ভাবছেন আবার হয়তো নরেন্দ্র মোদী জিতবেন। কিন্তু এবার তেমনটি হবে না বন্ধু।”
আরও পড়ুন: আজ থেকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টি! কোন কোন জেলায় জারি হল সতর্কতা?
পুরমন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম মঞ্চ থেকে বলেন, “পরেরবার স্বাধীনতা দিবসে লাল কেল্লায় আর দাঁড়িওয়ালা লোকটা ভাষণ দেবেন না। বাংলায় আপনি খুনখারাপি, সন্ত্রাসের কথা বলছেন। রাতে শুয়ে শুয়ে বাংলার কথাই ভাবেন। গত দেড় মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেফারেন্স ছাড়া মোদী কোন ও বক্তব্য রাখেননি। কারণ, তিনি বিশ্বাস করেন যে তাকে পালটে দিতে পারে, তিনি একমাত্ৰ মতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১জুলাইয়ের আগে দিদি’ আমাকে বলেন, ওই কথাটা বলবে না। কিন্তু আমাদের হৃদয়ের আওয়াজ কীভাবে থামাবেন? প্রধানমন্ত্রী পদে যোগ্যতম প্রার্থীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভুলে গেলে চলবে না-বলছে বাংলার জনতা, প্রধানমন্ত্রী হোন মমতা।”
আরও পড়ুন: পেটের দায়ে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়াই হল কাল! মর্মান্তিক পরিণতি বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের
একই দাবি তুলে কুণাল ঘোষও বলেন, “জোট জমানা শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু দলনেত্রী এ ক্ষেত্রে উদার। তিনি বলেছেন চেয়ার চাই না, চাই বিজেপি বিদায় হোক। দলীয় তরফ থেকে আমরা সে কথা বলছি না। কিন্তু আপনারা ভালোবাসার জায়গা থেকে একথা বলতেই পারেন ভুলে গেলে চলবে না যখন জ্যোতি বসু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য ডাক পেয়েছিলেন। তখন তাদের দলের সাংসদ সংখ্যা কত ছিল! নিশ্চয়ই তা ২০০ ছিল না। আমরা বলছি আমরা চেয়ার চাই না। কিন্তু ২৪ এর ভোটে ৪২এ ৪২ আসনের জন্য ঝাঁপাব আমরা।” এক কথায় এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে গর্জে ওঠে তৃণমূল। এদিন মঞ্চে তাৎপর্যপূর্ণভাবে হলুদ সেনার উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। অনুষ্ঠানের ড্রেস কোড এটাই ছিল।