বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জমি কেড়ে নিয়ে নর্দমা বানাচ্ছেন দলেরই নেতারা। পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ করলেও হচ্ছে না সুরাহা। আর সেই ক্ষোভেই নিজের বাবা-দাদার শহীদবেদি ভেঙে ফেললেন কেশবাড়ি (Kesh Bari) হত্যাকাণ্ডের একমাত্র জীবিত সদস্য অনন্ত কেশ। এমনকি তিনি এও বললেন, তৃণমূলের সঙ্গে আরও কোনও সম্পর্কই রাখব না।
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে ২ জুলাই পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বেলাড়ির বিল্বগ্রামে সিপিএম-এর হার্মাদদের হাতে খুন হয়েছিলেন অসীম কেশ, কমলাকান্ত কেশ এবং অশোক কেশ। যেদিন এই নরহত্যা চলছিল, ভাগ্যক্রমে সেদিন বাড়িতে ছিলেন না অনন্ত কেশ। আর সেই কারণেই তিনি প্রাণে বেঁচে যান। তিনি বাঁচলেও, সিপিএম-এর দুষ্কৃতীদের হাতে প্রাণ হারান ওনার দুই দাদা আর বাবা। এরপর থেকে প্রতিবছর ২ জুলাই দিনটিকে কেশবাড়ি হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে কংগ্রেস।
মৃত অসীম কেশ, কমলাকান্ত কেশ এবং অশোক কেশদের স্মরণে কেশবাড়ির সামনেই তৈরি হয় শহীদবেদি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাঁরা ২ জুলাই দিনটিকে সিপিএম-এর অত্যাচারকে স্মরণ করতে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করে আসে। আর যেই শহীদদের স্মরণ করতে এই বিশেষ দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে, সেই দিনই শহীদদের বেদি ভেঙে ফেললেন কেশ পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্য অনন্ত কেশ।
অনন্তবাবু অভিযোগ করে বলেন, ‘তৃণমূল আমাদের পরিবারকে প্রাপ্য সম্মান দিচ্ছে না।” তিনি এও জানান যে, এলাকায় চলা দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ করায় তৃণমূলের লোকেরা খুনের হুমকি দিচ্ছে। অনন্তবাবু অভিযোগ করে বলেন, এলাকার নালা দখল করে বাড়ি বানাচ্ছে তৃণমূলের নেতারা। আর আমার বাড়ির জমি দখল করে নালা বানাচ্ছে পঞ্চায়েত। এর প্রতিবাদ করায় খুনের হুমকি দিচ্ছে নেতারা। আর পুলিশে গেলেও কোনও সুরাহা মিলছে না।
যদিও দলের দিকে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার তৃণমূলের সভাধিপতি দেবু টুডু। তিনি জানিয়েছেন, ‘কেশ পরিবারকে যোগ্য সম্মান দিয়েছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এরপরেও কেন ওই পরিবারের সদস্য এই কাজ করলেন, সেটা খতিয়ে দেখতে হবে।”