মিও আমোরের পর জনপ্রিয় রেস্তোরাঁও বয়কট করল রূপঙ্করকে, একঘরে হয়ে পড়ছেন শিল্পী!

বাংলাহান্ট ডেস্ক: দিন দিন পরিস্থিতি আরো ঘোরালো হয়ে উঠছে রূপঙ্কর বাগচীর (Rupankar Bagchi) জন‍্য। কেকে কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব‍্য করার জন‍্য এখনো সমালোচিত হয়ে চলেছেন গায়ক। নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করলেও বিক্ষুব্ধ জনতা যে রূপঙ্করকে ক্ষমা করেনি তা স্পষ্ট। এর আগে বেকারি সংস্থা মিও আমোরের তরফে বয়কট করা হয়েছিল শিল্পীকে। এবার সেই পথে হাঁটল ‘ভূতের রাজা দিল বর’ রেস্তোরাঁও।

যাদবপুরের এই বাঙালি রেস্তোরাঁয় প্রায়ই বাংলা গান বাজানো হয় । সেই তালিকায় থাকে রূপঙ্করের গাওয়া বিভিন্ন জনপ্রিয় গানগুলিও। কিন্তু সাম্প্রতিক বিতর্কের পর তাঁর গানগুলি আর না বাজানোরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রেস্তোরাঁর তরফে।

Rupankar Bagchi 2020 3
একটি নোটিস জারি করা হয়েছে ‘ভূতের রাজা দিল বর’ এর তরফে যেখানে লেখা, ‘জনস্বার্থ এবং জনরোষের কথা মাথায় রেখে রূপঙ্কর বাগচির গান না বাজানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’ যদিও এই ছবির সত‍্যতা যাচাই করেনি বাংলাহান্ট।

কিছু দিন আগেই একই কারণ দর্শিয়ে কেক সংস্থা মিও আমোরেও রূপঙ্করের গাওয়া জিঙ্গল বাদ দিয়ে দিয়েছিল। সংবাদ মাধ‍্যমকে মিও আমোরের মার্কেটিং বিভাগের এক আধিকারিক জানান, গত ১ লা জুন থেকেই বিজ্ঞাপনী জিঙ্গেলটি তুলে নেওয়া হয়েছে। এতদিন শুধুমাত্র রেডিওতে চালানো হত। সেটাও আর হবে না।

সংস্থার এক কর্মী জানিয়েছেন, রূপঙ্কর বাগচীর মন্তব‍্যকে সমর্থন করে না মিও আমোরে। তাই গ্রাহকদের কথা ভেবেই জিঙ্গেলটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভবিষ‍্যতে রূপঙ্করের সঙ্গে আর কখনো কাজ করা হবে না বলেও জানানো হয়েছে।

দিন কয়েক আগেই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন রূপঙ্কর। গায়ক জানিয়েছিলেন, বিতর্কিত ভিডিওটি আসার আগেই ডিলিট করে দিয়েছেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠকে রূপঙ্কর বলেন, কেকের প্রতি তাঁর কোনো ব‍্যক্তিগত ক্ষোভ নেই। আর কেনই বা থাকবে?

তিনি আরো জানান, গত কয়েকদিন যে পরিস্থিতির মধ‍্যে দিয়ে গিয়েছেন তাঁরা তা এত বছরের কেরিয়ারেও কখনো হয়নি। কেকের পরিবারেরের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ করার উপায় নেই। তাই সাংবাদিকদের মাধ‍্যমেই তিনি নিজের দুঃখ প্রকাশ করেন। কেকের আত্মার শান্তি কামনা করেন।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর