বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের এক কৃষকের সাথে ঘটে এক আশ্চর্য ঘটনা। একদিন তিনি জানতে পারেন তার জনধন অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকেছে। তখন তিনি ভেবেছিলেন যে নিশ্চয়ই সরকার তা দিয়েছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে ধন্যবাদও জানিয়েছেন ওই কৃষক। কিন্তু ৫ মাস পর ওই কৃষকের যা হল, তা হয়তো তিনি স্বপ্নেও ভাবেনি।
জ্ঞানেশ্বর জনার্দন ওটে নামের পৈথান তালুকের দাভারওয়াড়ির ওই কৃষক ১৫ লক্ষ টাকা পাওয়ার পাঁচ মাস পরে ব্যাঙ্ক থেকে একটি নোটিশ পেয়েছেন, যাতে বলা হয়েছে যে তার অ্যাকাউন্টে অর্থটি ভুলভাবে জমা করা হয়েছে। তাই তাকে তা যত দ্রুত সম্ভব ফেরত দিতে হবে। জ্ঞানেশ্বরের জন ধন অ্যাকাউন্ট ব্যাঙ্ক অফ বরোদায়। গতবছরের ১৭ ই আগস্ট তারিখে সেই অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা জমা হয়েছিল। কৃষকের মনে হয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রী মোদী ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তার প্রতিশ্রুতি অনুসরণ করে, কৃষকের জন ধন অ্যাকাউন্টে টাকা রেখেছেন। এরপর ওই টাকা থেকে ৯ লাখ টাকা দিয়ে নিজের জন্য একটি বাড়ি তৈরি করেন। সেই খবর আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে।
কিন্তু পাঁচ মাস পর ব্যাঙ্ক থেকে নোটিশ পেয়ে কৃষক জ্ঞানেশ্বরের হুঁশ উড়ে যায়। লেনদেনটিকে ভুল আখ্যা দিয়ে টাকা ফেরত দিতে বলে ব্যাঙ্ক। এখন বিষয়টি এতটাই চিন্তার হয়ে দাঁড়িয়েছে যে টাকা দিতে না পারায় কৃষকের ওপর ক্রমাগত চাপ দিচ্ছে ব্যাঙ্ক। অন্যদিকে বিপাকে পরে কৃষক জ্ঞানেশ্বর ভাবছেন, কোথা থেকে পাবেন এত টাকা। এত টাকা যে তার কাছে নেই।
একই সময়ে, ব্যাঙ্কাররা বলছেন যে পিম্পলওয়াড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত ১৫ তম অর্থ কমিশন থেকে জেলা পরিষদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ পায়নি। তারপর ৪ মাস পর, যখন গ্রাম পঞ্চায়েত জানতে পারে যে এই টাকা জ্ঞানেশ্বরের অ্যাকাউন্টে এসেছে তখন ব্যাঙ্ক তাকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠায়। এইমুহূর্তে চরম উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন ওই কৃষক।