বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশের যে সমস্ত অভিনেতারা এপার বাংলাতেও চুটিয়ে কাজ করেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম ফিরদৌস আহমেদ (Ferdous Ahmed)। একটা সময়ে টলিউডে প্রচুর ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। মাঝে দু বছর ভারতে আসায় নিষেধাজ্ঞা ছিল তাঁর উপরে। সে নিষেধাজ্ঞা উঠতেই কলকাতায় এসে ঘুরে গিয়েছিলেন ফিরদৌস।
টলিউড থেকে নাকি এখনো প্রচুর কাজের প্রস্তাব পান বাংলাদেশের নায়ক। অনেক পরিচালক তাঁর কাছে কাজের প্রস্তাব আনেন। কিন্তু কোনোটাতেই ‘হ্যাঁ’ বলেননি তিনি। কেন? সম্প্রতি ফিরদৌস নিজেই মূখ খুলেছেন এ বিষয়ে।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ফিরদৌস বলেন, গত ২০ বছর ধরে টলিউডের বিভিন্ন ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব এসে চলেছে তাঁর কাছে। কিন্তু কোনোটাতেই রাজি হচ্ছেন না তিনি। কারণ সময়ের অভাব।
বাংলাদেশের ছবিতেই অভিনয় করে সময় বের করতে পারছেন না ফিরদৌস। তাই টলিউডে আর আসা হচ্ছে না তাঁর। তবে টলিপাড়ার কয়েকজন পরিচালক প্রযোজকের সঙ্গে তাঁর ছবির গল্প ও চরিত্র নিয়ে কথা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ফিরদৌস।
২০১৯ সালে ফিরদৌসের ভারতে আসার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। সে বছর এপ্রিল মাসে ছিল লোকসভা নির্বাচনের প্রচার পর্ব। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হয়ে বহু অভিনেতা অভিনেত্রীরাই প্রচার করছিলেন। রায়গঞ্জে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে যোগ দিয়েছিলেন ফিরদৌসও। সঙ্গে অবশ্য টলিউডের অন্যান্য অভিনেতারাও ছিলেন।
কিন্তু সেটাই কাল হয়। বিজেপি অভিযোগ তোলে, ভারতের নির্বাচনী প্রচারে বাংলাদেশি তারকা এনেছে তৃণমূল। জল গড়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পর্যন্ত। ফিরদৌসকে বাংলাদেশ ফিরে যেতে বলা হয়। তাঁর ভারতে আসার ভিসাও বাতিল করে দেওয়া হয়। অবশেষে গত বছরের নভেম্বরে আবার ভিসা হাতে পান ফিরদৌস।
ওপার বাংলার সংবাদ মাধ্যমকে ফিরদৌস জানিয়েছিলেন, তিনি জানতেন না যে প্রচার করা যাবে না। আবার যারা তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলেন তারাও জানতেন না যে সেটা বেআইনি। এর জেরে অনেক ভুগতে হয়েছে তাঁকে। ফিরদৌস বলেন, তিনি কখনোই চাননি যে দেশের সুনাম নষ্ট হোক।