বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) বলেই পরিচিত ফিনল্যান্ডের (Finland) সানা মেরিন (Sanna Marin)। ২০১৯-এর ডিসেম্বর মাসে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখনও পর্যন্ত কেউ ওনার গায়ে কালি লাগাতে পারেনি। কিন্তু সম্প্রতি একটা ইস্যু ‘এক বালতি দুধের মধ্যে এক ফোঁটা গোচোনা”র মতো হয়ে গেছে ওনার কাছে। আসলে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মেরিন সরকারি টাকায় পরিবারের ব্রেকফাস্টের বিল (breakfast bill) মিটিয়ে বিতর্কের মধ্যে পড়েছেন।
ফিনল্যান্ডের বিরোধী দলগুলো এখন স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রধানমন্ত্রীকে তুলোধোনা করায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। তাঁদের একটাই অভিযোগ, সেটা হল প্রধানমন্ত্রী কেন সরকারি কোষাগারের টাকায় ব্রেকফাস্টের বিল মেটাবেন? বিষয়টি সামনে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। দেশের গোয়েন্দা বিভাগের সুপারিনটেনডেন্ট জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর ব্রেকফাস্টের খরচ নিয়ে তদন্ত হবে।
যদিও ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মেরিন জানিয়েছেন যে, এর আগে যারা দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাঁরাও সরকারি টাকায় ব্রেকফাস্ট করতেন। বিরোধীরা এই বিষয়ে সরব হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী একটি টুইট করে এই মামলায় পুলিশের তদন্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। সানা মেরিন জানিয়েছেন, যতদিন তদন্ত চলবে ততদিন তিনি এই সুবিধা নেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এবং এই সুবিধা যদি আইন বিরোধী হয়, তাহলে তিনি সরকারি টাকায় আর ব্রেকফাস্ট করবেন না।
করোনা দমনে ইতিমধ্যে গোটা বিশ্বের প্রশংসা কুড়িয়েছে মেরিন সরকার এবং ফিনল্যান্ড। গোটা ইউরোপ যখন করোনা সংক্রমণে কাবু ছিল, তখন ফিনল্যান্ডে সেই সংক্রমণের হার সবথেকে নিচে ছিল। কিন্তু ওনার এই ব্রেকফাস্ট কেলেঙ্কারির কারণে এখন কিছুটা ব্যাকফুটে শাসক দল। দেশে এমাসেই স্থানীয় নির্বাচন হতে চলেছে, আর তাঁর আগে বিরোধীদের হাতে এক মোক্ষম অস্ত্র তুলে দিলেন সানা মেরিন।