প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত, হুগলি নদীর তীরে মিলল পাঁচটি প্রাচীন কামান! উঠে এল অবাক করা তথ্য

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশের অন্যতম প্রাচীন শহরগুলির তালিকায় একদম প্রথম স্থানেই থাকে কলকাতা (Kolkata)। এই শহরের প্রতিটি কোণায় মিলবে টুকরো টুকরো ইতিহাস। আর সেই কারণেই অনন্য হয়ে উঠেছে এই মহানগরী। এমতাবস্থায়, এবার হুগলি নদীর (Hooghly River) তীরে প্রাচীন কিছু কামানকে খুঁজে বার করল নৌবাহিনী।

অনুমান করা হচ্ছে যে, ওই কামানগুলি সম্ভবত প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ের। এই প্রসঙ্গে নৌবাহিনীর এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, কলকাতায় হুগলি নদীর তীরে পাঁচটি কামান পাওয়া গেছে। ব্রিটিশ আমলের এই কামানগুলির মধ্যে দু’টির সংস্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি, সেগুলিতে কালো, সাদা ও লাল রং করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেগুলিকে ভারতীয় নৌবাহিনীর বেঙ্গল অঞ্চলের সদর দপ্তর আইএনএস নেতাজি সুভাষে রাখা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

এদিকে, ক্যাপ্টেন জয়দীপ চক্রবর্তী জানিয়েছেন যে, তিনি হুগলির বাম তীরে একটি জায়গা পরিষ্কার করার সময় এই কামানগুলি খুঁজে পান। পাশাপাশি, তিনি জানান, “এই কামানগুলি সম্ভবত প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ের।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে আবিষ্কৃত পাঁচটি কামানের চারটিকে এই বছর ওই জায়গা থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যা আগে নদীর তলদেশের অংশ ছিল। পাশাপাশি, ক্যাপ্টেন চক্রবর্তী আরও জানান যে, খিদিরপুর ডকের কাছে দাইঘাটের জমিটি আগে কলকাতা বন্দরের আওতায় ছিল এবং সেখানে কিছু নির্মাণ কাজের জন্য নৌবাহিনী সেটিকে ফের গ্রহণ করে।

জমি পরিষ্কার করার সময় শ্রমিকরা দেখতে পান: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ব্রিটিশ আমলের একটি কামানকে ওই এলাকায় জমি পরিষ্কার করার সময়ে দেখতে পান শ্রমিকেরা। এই বিষয়ে নৌবাহিনীর রাজ্য এলাকার প্রধান মুখপাত্র কমান্ডার সুদীপ্ত মৈত্র জানিয়েছেন, “জমি পরিষ্কার করার সময় সেখানে একটি কামান পাওয়া গেছে এবং পরে আরও চারটি কামানের সন্ধান মেলে।”

WhatsApp Image 2022 12 04 at 8.11.37 PM

এমতাবস্থায়, ওই চারটি কামানকে নেভি হাউসে নিয়ে আসা হয়। যার মধ্যে দু’টিকে বর্তমানে সেখানে রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান যে সেগুলির উপর তাদের নির্মাণজনিত কোনো চিহ্ন ছিল না। যে কারণে সেগুলির বয়স এবং নির্মাণসংক্রান্ত তথ্য পেতে সমস্যা হচ্ছে। যদিও, ক্যাপ্টেন চক্রবর্তী জানান, ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজের জন্য এগুলিকে স্থানীয়ভাবে তৈরি করা হতে পারে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর