বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ টাকা জমানোর মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন ব্যাংকের স্থায়ী আমানত বা ফিক্সড ডিপোজিটকে। ফিক্সড ডিপোজিটে টাকা জমা করা একদিকে যেমন সুরক্ষিত, অন্যদিকে পাওয়া যায় নিশ্চিত রিটার্ন। এই দুই কারণে আজও অধিকাংশ মানুষের টাকা জমানোর নিশ্চিন্ত মাধ্যম ফিক্সড ডিপোজিট।
অনেকেই অবসরের পর নিজেদের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে কিংবা কিছুটা বাড়তি আয়ের আশায় বিনিয়োগ করেন স্থায়ী আমানতে। তবে আপনারা জানেন স্থায়ী আমানতে আপনারা সর্বোচ্চ কত টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন? এই বিষয়ে জানার আগে স্থায়ী আমানত বা ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের হার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আরোও পড়ুন : এবার মিলবে ফ্রি ইন্টারনেট! বড়সড় ঘোষণা মাস্কের, টেক্কা দিতে রেডি Jio’ও
বার্ষিক ২.৫০ শতাংশ থেকে ৯.০০ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দেওয়া হয়ে থাকে স্থায়ী আমানতে। ০.৫০ শতাংশ থেকে ০.৭৫ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত সুদ পেয়ে থাকেন প্রবীণ নাগরিকরা। ব্যাংক, এনবিএফসি এবং মেয়াদের উপর নির্ভর করে স্থায়ী আমানতের সুদের হার। সরকারি ব্যাংকের তুলনায় বেসরকারি ব্যাংক সাধারণত বেশি সুদ দিয়ে থাকে।
আরোও পড়ুন : বাংলায় মোটা টাকা ঢালবে আদানি, ট্রান্সপোর্টেশন ইন্ডাস্ট্রিতে আসতে চলেছে নতুন যুগ
এছাড়াও বিভিন্ন এনবিএফসি মোটা অংকের সুদ দিয়ে থাকে গ্রাহকদের। যেকোনো ভারতীয় নাগরিক বিনিয়োগ করতে পারেন ফিক্সড ডিপোজিটে। স্থায়ী আমানতের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে হিন্দু অবিভক্ত পরিবার, প্রাইভেট বা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি, সোসাইটি এবং পার্টনারশিপ ফার্মও। ট্যাক্স স্ল্যাব অনুযায়ী কর দিতে হয় ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের উপর।
১৫ জি ফর্ম নির্দিষ্ট সময় জমা দিতে হয় টিডিএস এড়ানোর জন্য। আপনাদের বলে রাখি স্থায়ী আমানতে ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ ঠিক করে দেওয়া থাকে। তবে এর সর্বোচ্চ পরিমাণ যত খুশি হতে পারে। ব্যাংক বা এমবিএসসিগুলোতে বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা নেই। অতিরিক্ত টাকা জমালে গ্রাহকরা পাবেন অতিরিক্ত সুদ।