রবি নদীর প্রবাহ বন্ধ করল ভারত, বিজ্ঞপ্তি জারি কেন্দ্রের! জল নিয়ে হাহাকার পাকিস্তানে

বাংলা হান্ট ডেস্ক : জলসেচ ব্যবস্থা নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার (Government Of India)। জম্মু এবং পাঞ্জাব সীমান্তে অবস্থিত শাহপুর কান্দি ব্যারেজের (Shahpur Kandi Barrage) কাজ শেষ হতেই পাকিস্তানের (Pakistan) দিকে রবি নদীর (Ravi Nadi) প্রবাহ প্রায় বন্ধই হয়ে গেছে বলা চলে। আর এই অতিরিক্ত জলের সুবিধা লাভ করবে জম্মু সংলগ্ন পুরো অঞ্চল। নতুন বাঁধ দেওয়ায় ফায়দা লাভ করবে জম্মু কাশ্মীরের কৃষকগণ।

শাহপুর কান্দি ব্যারাজ চালু হওয়ার অর্থ এই যে, এবার থেকে জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চল 1150 কিউসেক জল থেকে উপকৃত হবে যা আগে পাকিস্তানকে বরাদ্দ করা হতো। কাঠুয়া এবং সাম্বা জেলার 32,000 হেক্টর জমিতে সেচের উদ্দেশ্যে এই জল ব্যবহার করা হবে। উল্লেখ্য যে, শাহপুর কান্দি ব্যারেজ প্রকল্পটি কেবল সেচ নয, সেইসাথে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

   

এখানে জানিয়ে রাখি যে, জম্মু-কাশ্মীর অঞ্চলে বিভিন্ন নদীর জলের অধিকার নিয়ে 1960 সালে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে রবি, সুতলজ এবং বিয়াস নদীর জলের উপর ভারতের অধিকার রয়েছে। অন্যদিকে সিন্ধু, ঝিলাম এবং চেনাবের জলের ওপর অধিকার রয়েছে পাকিস্তানের। কিন্তু এতদিন ভারত এই চুক্তির পুরোপুরি ব্যবহার করেনি।

আরও পড়ুন : ‘BJP পশ্চিমবঙ্গে ভালো ফল করবেই’, সন্দেশখালির প্রভাব ভোটবাক্সে? বড় মন্তব্য প্রশান্ত কিশোরের

শাহপুর কান্দি ব্যারেজ তৈরীর হওয়ায় ভারত রবি নদীর জলের সর্বাধিক ব্যবহার করতে সক্ষম হয়। সাথে এটাও নিশ্চিত করা হয় যে, পুরানো লখনপুর বাঁধ থেকে পাকিস্তানের দিকে প্রবাহিত জল এখন জম্মু-কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবে ব্যবহার করা হবে।

আরও পড়ুন : ‘জমি নিয়ে থাকলে ফেরত দিন’, সন্দেশখালি কাণ্ডে অভিষেকের কড়া বার্তা, বিরোধীরা বলছে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’

03lead2

উল্লেখ্য, এই শাহপুর কান্দি ব্যারেজ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন পিভি নরসিমা রাও। 1995 সালে এই প্রকল্প শুরুর সময় জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাঞ্জাব সরকারের মধ্যে বেশ কয়েকটি বিরোধের সম্মুখীন হয়। আর তারফলে ব্যারেজ তৈরীর কাজ আরো সাড়ে 4 বছর পিছিয়ে যায়। রবি ছাড়াও আরো কিছু স্টোরেজের ওপর কাজ করছে ভারত। যার মধ্যে রয়েছে সুতলেজের উপর তৈরী হওয়া ভাকরা বাঁধ, বিয়াসের উপর পং এবং পান্ডোহ বাঁধ এবং রবির উপর থেইন (রঞ্জিতসাগর) বাঁধ।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর