বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজ আলিপুরের বিশেষ আদালতে স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি মামলায় পেশ করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। আদালতে আজ ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী তরফে জামিনের আবেদন করা হয়। কিন্তু পূর্বের মতোই খারিজ হয়ে যায় পার্থর জামিন আবেদন। আজ আদালত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। অন্যদিকে ৫ ই অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসপি সিনহা এবং অশোক সাহাকেও।
আজ আদালতে সওয়াল চলার সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী অভিযোগ তোলেন সিবিআই এর বিরুদ্ধে। তিনি বলেন যে গত পাঁচ দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা সত্ত্বেও তার মক্কেলের থেকে কিছু জানতে পারেনি সিবিআই। ওনার শারীরিক অসুস্থতার কথা ভেবে অবিলম্বে জামিন মঞ্জুর করা হোক। তথ্য প্রমাণ নষ্টের যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষে সম্ভব নয়। উনি এখন একজন সাধারণ মানুষ।
পার্থর জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই আইনজীবী বলেন যে এখনো দুর্নীতি মামলা সম্পর্কে অনেক কিছু জানার বাকি আছে। এই মামলার সাথে যেহেতু সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত তাই এনারা জামিন পেলে সাক্ষীদের উপর ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারেন। এর পাশাপাশি আজ সিবিআই এর পক্ষ থেকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৭ (জালিয়াতি) ধারাও যুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীর পাশাপাশি এদিন সওয়াল করেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবীও। তার দাবি যে কল্যাণময়বাবু মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মাত্র। স্কুল সার্ভিস কমিশনের সাথে তার কোন যোগ নেই। তার সই স্ক্যান করা হতো। এছাড়াও আইনজীবীর দাবি এই বিরাট ষড়যন্ত্রে কল্যাণময়বাবু কোন হাত ছিল না।