বাংলাহান্ট ডেস্ক : অত্যন্ত দুর্গম এলাকায় ঘটেছে দুর্ঘটনা। তাই সেই এলাকায় পৌঁছনোই সম্ভব হয়নি দীর্ঘক্ষণ। তবে সোমবার ভোরে সমস্ত প্রতিকূলতা পেরিয়ে অকুস্থলে পৌঁছে গেছেন উদ্ধারকারী দল। কিন্তু পৌঁছেে একরকম দিশেহারা তাঁরা। একাধিক মৃতদেহ প্রায় চেনাই যাচ্ছে না। নেপালে ভেঙে পড়া যাত্রীবাহী বিমানে ছিলেন ৪ ভারতীয়। তাঁদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। চারজনই মহারাষ্ট্রের একই পরিবারের সদস্য। ছুটি কাটাতে তাঁরা গিয়েছিলেন নেপালে কিন্তু সেই সফরই হয়ে উঠল মৃত্যুর পরোয়ানা। বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন ৪ জনই।
নেপালের মানচিত্রের হিসাবে দেখলে, জায়গাটি নেপালের মুস্তাং জেলার স্যানোস্যায়ার। এখানেই রবিবার বেলার দিকে ভেঙে পড়ে নেপালের তারা এয়ারের নাইন এনএইটি বিমানটি। ১৯ জন যাত্রী ও তিন জন কেবিন ক্রু নিয়ে যাত্রা করে এই বিমান। জানা যাচ্ছে, নেপালের পোখরা থেকে জমসমের উদ্দেশে রওনা দেয় ঘাতক বিমানটি। কিছুক্ষণের মধ্যেই এটিসির সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে মাঝআকাশেই নিখোঁজ হয়ে যায় সেটি। এর কিছুক্ষণ পর বিমানের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পেয়েছেন বলে দাবি তোলে উদ্ধারকারী দলের সেনারা।
ধৌলাগিরি রেঞ্জের মুস্তাংয়ের খাদে পড়েছে যাত্রীবাহী বিমানটি। আর তাতেই সব যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী, ক্র্যাশ সাইট অর্থাৎ দুর্ঘটনাস্থল এতটাই দুর্গম এবং আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় বিমানটি ভেঙে পড়েছে বলে অনুমান করে। তবে উদ্ধারকারী বিমান তখনই পৌঁছতে পারেনি সেখানে। পায়ে হেঁটে সেখানে পৌঁছনোর চেষ্টা চালিয়েছিলো নেপাল সেনা ও পুলিশ। তবে কোনও যাত্রীরই বেঁচে থাকার আশা দেখাননি কেউই।
সোমবার ভোরে সেই অনুমানই সত্যি বলে প্রমানিত হল। ইতিমধ্যেই নেপাল পুলিশ ২২ জন যাত্রীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন চার ভারতীয়। সূত্রের খবর, তাঁরা সকলেই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। একই পরিবারের সদস্য। থানের বাসিন্দা চুয়ান্ন বছরের অশোক ত্রিপাঠী, তাঁর স্ত্রী বৈভবী ত্রিপাঠী, মেয়ে রীতিকা ও ছেলে ধন্যাশ্ব, চারজন ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন নেপালে। পোখরা থেকে বিমান বদলে অভিশপ্ত বিমানটিতে ওঠেন। আর সেখানেই শেষ সবকিছু। নেপাল পুলিশ ও সেনা চরম দক্ষতার সঙ্গে দুর্ঘটনাস্থল থেকে কপ্টারের সাহায্যে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।