বাংলা হান্ট ডেস্ক : হরিয়ানার (Hariyana) জিন্দে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বিরোধীদের একহাত নিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। বেশ স্পষ্ট গলাতেই বলেন, তার পাঁচটি দাবি পূরণ হলে তিনি রাজনীতিও ছেড়ে দেবেন। এইদিন অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরাসরি বিজেপিকে নিশানা করেন এবং বলেন, ‘আজ বিজেপির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি আম আদমি পার্টি।’
এই জনসভায় কেজরিওয়াল বলেন, তার ৫টি দাবি তালিকাভুক্ত করেন এবং বলেছিলেন যে এইগুলি পূরণ হলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখানে ক্ষমতার জন্য আসিনি… আমি এখানে টাকা কামাতে আসিনি বা মন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী হতে আসিনি।’ কেজরিওয়ালের কথায়, ‘ ১৪০ কোটি মানুষের তরফে আমার প্রথম দাবি এই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিক করা। সবার জন্য সমান শিক্ষার ব্যবস্থা করুন।’
একই সাথে তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশে সবাই যেন ভালো চিকিৎসা পায়, সে দরিদ্র হোক বা ধনী হোক। সারা দেশে হাসপাতাল ঠিক করুন, কেজরিওয়াল রাজনীতি ছেড়ে দেবেন।’ নিজের তৃতীয় দাবির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কেজরিওয়াল জানান, ‘মূল্যস্ফীতি কমাও, কেজরিওয়াল রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। দিল্লি ও পাঞ্জাবে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আমরা তা দেখিয়েছি।’
আরও পড়ুন : শিয়ালদহ ডিভিশনে মহিলা যাত্রীদের নিয়ে ছুটবে AC ট্রেন, নূন্যতম ভাড়া ২৫ টাকা? প্রকাশ্যে বড় আপডেট
এরপরেই চতুর্থ দাবির কথা উল্লেখ করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘প্রত্যেক হাতে কর্মসংস্থান দিন’ এবং পঞ্চম দাবি প্রসঙ্গে কেজরিওয়াল বলেন, দেশে বিদ্যুৎ খুবই ব্যয়বহুল। আপনারা যদি গরিবদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেন এবং সারাদেশের সবাইকে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ দেন, তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।’
আরও পড়ুন : দরকারে মানুষের মতো কথা বলে গাছেরাও! ভিডিও দেখিয়ে বড় প্রমাণ দিয়ে চমকে দিলেন বিজ্ঞানীরা
বিজেপিকে নিশানা করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, এই দল তার পেছনে পড়ে আছে। আম আদমি পার্টি বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দিতে চায়। দুর্নীতির অবসান চায়, আর সেই কারণেই দেশের শাসকদল আম আদমি পার্টির পেছনে লেগেছে। একইসাথে কেজরিওয়ালের কটাক্ষ, ‘আমরাও যদি তাদের মতো টাকা খাওয়া শুরু করি এবং কিছু টাকা পাঠাই, তাহলে তারা বলবে কেজরিওয়াল খুব ভালো।’
একই সাথে সিসোদিয়া আর সত্যেন্দ্রের জেল হেফাজতের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন তিনি। কেজরিওয়ালের কথায়, মণীশ সিসোদিয়ার জেল হেফাজতের কারণ নাকি তার সততা। তিনি গরিবদের সন্তানদের সুশিক্ষা দেওয়ার সাহস দেখিয়েছেন বলেই নাকি তার জেল হয়েছে। একই মতামত সত্যেন্দ্র জৈনের ক্ষেত্রেও। আপ প্রধানের কথায়, ‘কেন সত্যেন্দ্র জৈনকে জেলে রাখা হল? কারণ সবার ভালো চিকিৎসা নিশ্চিত করার সাহস ছিল তার। আজ দিল্লির সরকারি হাসপাতালগুলো যেন পাঁচতারা হাসপাতাল।’