বাংলা হান্ট ডেস্ক: স্মার্টফোন (Smartphone) কেনার শখ ছিল বহুদিন ধরে। কিন্তু বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। নিজেও স্কুল ছাত্রী। তাই ফোনের টাকা জোগাড় করতে ব্লাড ব্যাংকে (Blood Bank) গিয়ে রক্ত দিতে চাইলেন এক কিশোরী। ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে বললেন, রক্তের বিনিময় তিনি টাকা চান। কিশোরীর এই কথা শুনে রীতিমতো চমকে ওঠেন সেখানকার কর্মীরা। দ্রুত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়টি জানায় তারা। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে খবর দেওয়া হয় চাইল্ড লাইনে। চাইল্ড লাইন থেকে কর্মীরা এসে কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানতে পারেন যে সে তার শখের মোবাইল ফোন কেনার জন্য ব্লাড ব্যাংকে এসেছে রক্ত দিতে।
এই ঘটনাটিকে ঘিরে বেশ শোরগোল পড়ে গেছে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। ১৭ বছর বয়সী এই কিশোরী করদহের বাসিন্দা। সূত্রের খবর, এই কিশোরী প্রতিবেশীর মোবাইল ফোন থেকে অনলাইনে একটি ১০ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন অর্ডার করেন। ক্যাশ অন ডেলিভারি পেমেন্ট মুডে এই মোবাইলটি সে অর্ডার করে। দশদিনের মধ্যে এই ফোনটি তার বাড়িতে ডেলিভারি হওয়ার কথা।
কিন্তু কিশোরীর মাথায় ঘুরতে থাকে কিভাবে সে এই মোবাইলটির দাম দেবে। অবশেষে সে সিদ্ধান্ত নেয় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে যাবে রক্ত বেচতে। সেই মতো কিশোরীটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাস ধরে হাসপাতালে পৌঁছায় রক্ত বিক্রি করার জন্য। চাইল্ড লাইনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কিশোরীটির কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
এ বিষয়টি নিয়ে কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন যে ঘরে একটি ছোট ফোন আছে। স্মার্টফোনের ব্যাপারে কোনও কথা সে তাদের কাছে বলেনি। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা চাইল্ড লাইনের এক নেত্রী জানিয়েছেন, পরিচিত কেউ হয়তো এই নাবালিকাকে রক্ত বেচে ফোন কেনার পরামর্শ দেয়। আপাতত তাকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার এ পাঠানো হবে।