বাংলা হান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি উত্তরাখণ্ড থেকে এমন এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে যা শোনার পর চোখ কপালে উঠেছে সকলের। বয়ফ্রেন্ডের হাত থেকে নিস্তার পেতে সোজা খুনই (Murder) করে ফেললেন ঐ প্রেমিকা। আর তাও আবার কী না সাপকে (Snake Bite) অস্ত্র বানিয়ে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
গত ১৫ জুলাই গোলপাস রোডে একটি গাড়ির মধ্যে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায় ঐ মৃত ব্যক্তির নাম অঙ্কিত চৌহান। তিনি হলদ্বানির বাসিন্দা এবং পেশায় একজন ব্যবসায়ী। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা হয় এসি গ্যাস লিক হয়ে মৃত্যু হয়েছে তবে পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট সামনে আসতেই চমকে ওঠে সকলে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গিয়ে পুলিশ যখন অঙ্কিতের মোবাইলের কল ডিটেইল খতিয়ে দেখে, তখন মাহি ও ডালি নামের এক মেয়ের সঙ্গে তাঁর ক্রমাগত কথোপকথন পুলিশকে সন্দেহের মধ্যে ফেলে দেয়। এরপর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাহির বাড়িতে পৌঁছালে জানা যায় সে পলাতক। সাথে আরো জানা যায়, মাহী ছিলেন অঙ্কিতের বিশেষ বান্ধবী তথা প্রেমিকা।
তদন্ত সূত্রে জানা যায়, যেদিন অঙ্কিতের লাশ উদ্ধার করা হয় তার একদিন আগেই তিনি মাহীর কাছে গেছিলেন। এদিকে মাহীকে না পেয়ে তার ফোন নাম্বার ট্রেস করার চেষ্টা করে পুলিশ। দেখা যায় বিগত কিছুদিন ধরেই একটি নাম্বারে ঘনঘন যোগাযোগ করেছিল মাহী। আর সেই ব্যক্তির নাম রমেশ নাথ। এমতাবস্থায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রমেশ নাথকে হেফাজতে নিলে উঠে আসছ চাঞ্চল্যকর তথ্য।
রমেশ নাথ জানান যে তিনি একজন সাপুড়ে এবং হলদ্বানীতে সাপ ধরার কাজ করেন। কিছুদিন আগে এক ব্যক্তি তাকে মাহির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেছিলেন যে কালসর্প পূজা করার জন্য তার একটি সাপ দরকার। তবে পরে নাকি মাহী তাকে জানায়, অঙ্কিত তাকে খুব মারধোর করেন। তিনি আর তার সাথে থাকতে চাননা। আর তাই তাকে মেরে ফেলার জন্য সাপ দরকার তার।
এর জন্য নাকি তাকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার-ও কথা বলেছিল মাহী। পাশাপাশি মুখ বন্ধ রাখার জন্য বাড়ির কাজের মেয়ে ও তার স্বামী এবং দীপ কন্দপাল নামের এক ব্যক্তিকেও ১০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মাহী। এরপরেই রমেশ ১৪ জুলাই একটি কোবরা নিয়ে তার বাড়িতে যান এবং সেখানে অঙ্কিতকে দুবার সাপে কামড় দেয়। পরে লাশটি খাদে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করলেও তাতে তারা সফল হয়নি।