বাংলাহান্ট ডেস্ক : রেলের ইঞ্জিন থেকে ব্রিজ, এখন আবার সম্পূর্ণ একটি রাস্তা! চুরির ক্ষেত্রে বহুবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে বিহারের নাম। বলা বাহুল্য, বিহারে সচরাচর এমন ঘটনা ঘটে, যা কেউ কল্পনাও করতে পারে না। রেলওয়ে ইয়ার্ডে রাখা ইঞ্জিন ও ব্রিজ চুরির পর এখন গ্রামের রাস্তা চুরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাঁকা জেলার একটি গ্রামে একদিন সকালে গ্রামবাসীরা ঘুম থেকে উঠে দেখেন যে তাদের এলাকার একটি রাস্তা হঠাৎ উধাও হয়ে গেছে। এরপরেই তাঁরা এই খবরটি পুলিশকে জানায়।
সূত্রের খবর, ২৯শে নভেম্বর সকালে গ্রামবাসীরা দেখেন, রাস্তাটি কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। এই রাস্তাটি খারউনি গ্রাম থেকে দক্ষিণে অবস্থিত খাদমপুর গ্রাম পর্যন্ত গেছে। তারপর খারউনি গ্রাম থেকে অন্য দিকে যাওয়ার জন্য এটাই ছিল একমাত্র রাস্তা। আসলে আগে যেখানে রাস্তা ছিল, সেখানে এখন গমের ক্ষেত। খারউনি গ্রামের কিছু কৃষক রাতারাতি রাস্তা লাঙ্গল করে তাতে গম বপন করছেন।
কিন্তু এই ব্যাপারে খাদমপুর গ্রামের লোকজন খারউনি গ্রামের লোকদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাঁদের লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করা হয়। এরপর গ্রামবাসীরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের বক্তব্য, প্রায় ৫০০ মিটার রাস্তার পিসিসিও করা হয়েছে। তাঁরা আরও বলেন যে, যুগ যুগ ধরে এমনটি হয়ে আসছে। এ ঘটনার পর দুই গ্রামের মধ্যে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় পুলিশি তৎপরতা বাড়িয়েছে প্রশাসন।
এর আগে গড়হারা ইয়ার্ড থেকে পুরো ট্রেনের একটি মাত্র ইঞ্জিন চুরি হয়। সুড়ঙ্গ খুঁড়ে এই চুরি করা হয়েছিল বলেই জানা গিয়েছে। গড়হারা ইয়ার্ডে মেরামতের জন্য আনা ডিজেল ইঞ্জিনের ওপর চোরদের নজর ছিল। ধীরে ধীরে চোরেরা বিভিন্ন যন্ত্রাংশ চুরি করতে শুরু করে সেগুলিকে আলাদা করে এবং শেষে সম্পূর্ণ ইঞ্জিনটি চুরি করে ফেলে। এই ইঞ্জিন চুরি করতে, চোরের দল স্টেশনে একটি সুড়ঙ্গ খনন করেছিল, কর্মকর্তারাও তা খেয়াল করেননি।
একইভাবে রোহতাসে, চলতি বছরের এপ্রিলে, চোরদের একটি দল প্রায় ৫০০ টন ওজনের একটি ৪৫ বছর পুরোনো ইস্পাতের সেতু ভেঙে বিক্রি করে দেয়। এই চুরির ঘটনায় সেচ দফতরের আধিকারিকদের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। পরে এ মামলায় জল সংশোধন বিভাগের এক সহকারী এবং প্রকৌশলীর আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।