বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুজোর মধ্যেই সুখবর। দেওয়া শুরু হয়ে গেছে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের টাকা। বহু টালবাহানা, অনিশ্চিয়তার পর টাকা ঢুকছে পড়ুয়াদের
অ্যাকাউন্টে। এ বছর দ্বাদশ শ্রেণীর পাশাপাশি একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়দেরও ট্যাব, মোবাইল কেনার জন্য ‘তরুণের স্বপ্ন’ (Taruner Swapno) প্রকল্পের মাধ্যমে ১০,০০০ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছিল রাজ্য (Government Of West Bengal)। সেই মতোই পৌঁছে যাচ্ছে টাকা।
গত ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিন রাজ্যের ১৬ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই টাকা পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছিল। তবে শেষ মুহূর্তে এসে সেই পরিকল্পনা বাতিল করে দেয় শিক্ষা দফতর। বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয় আপাতত রাজ্য তরফে টাকা দেওয়া হচ্ছে না। আর জি কর আবহে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় টাকা মিলবে কি না এই নিয়ে অনেকের মনেই আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তবে দ্বিতীয়ার দিনই মেলে সুখবর।
নবান্ন সূত্রে খবর, পুজোর মধ্যেই একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ট্যাবের জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার। শুক্রবার থেকেই টাকা বিলির কাজ শুরু হয়ে গেছে। অধিকাংশ পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টেই পৌঁছে গেছে টাকা। নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, সমস্ত পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা পাঠানো হবে।
জানা গিয়েছে এ বার ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের জন্য সব মিলিয়ে ১৩৩ কোটি ৫৭ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২০ সালে কোভিডের সময় থেকেই শিক্ষার ডিজিটালকরণে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ডিজিটাল শিক্ষায় শিক্ষিত করতে এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের পড়ুয়াদের মোবাইল এবং ট্যাবলেটের মাধ্যমে পড়াশোনার ক্ষেত্রে সমান সুযোগ গড়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস এবং শিক্ষামূলক অ্যাপ ব্যবহারে সুবিধা হয়। এই উদ্দেশেই চালু হয় ‘তরুণের স্বপ্ন’।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ খুনের ঘটনায় সঞ্জয়কে প্ররোচনা? আদালতে লিখিত দিল CBI, তোলপাড়
সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলের পাশাপাশি, মাদ্রাসা এবং সংখ্যালঘু বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল শিক্ষার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা যাতে উন্নত মানের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সেই লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এবারেও সেপ্টেম্বরে পড়ুয়াদের কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়ার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছিল। তবে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির কারণে সেই সময় টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছিল। তবে এবার পুজোর মুখেই রাজ্য (Government Of West Bengal) রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মুখে হাসি ফুটলো পড়ুয়াদের।