Ekchokho.com 🇮🇳

SSC আবহেই আরাম-আয়েশের দিন ঘুচবে প্রাথমিক শিক্ষকদের! ‘থ্রি টিচার পলিসি’ চালু প্রশাসনের

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কোথাও প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষক (Teachers) সংখ্যা বেশি, কোথাও আবার অতিরিক্ত কম। রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে প্রায়শই উঠে আসে এমন ছবি। শহর এবং শহর সংলগ্ন স্কুলগুলিতে শিক্ষক সংখ্যা ৫-৬ জন। এদিকে পড়ুয়া রয়েছে নামমাত্র। ফলত বসে বসে মাছি তাড়াতে হয় শিক্ষকদের। এদিকে একটু গ্রামাঞ্চলের দিকে এগোলেই বদলে যায় চিত্রটা। সেখানে আবার স্কুলে ছাত্র সংখ্যা যথেষ্ট। কিন্তু তুলনায় শিক্ষক অপ্রতুল। ফলত হিমশিম খেতে হয় শিক্ষকদের (Teachers)। পড়াশোনাতেও ঘটে ব্যাঘাত। তাই এবার এই পরিস্থিতির উন্নতিতে বড় পদক্ষেপ নিল প্রশাসন।

প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের (Teachers) ঘাটতি কমাতে বড় উদ্যোগ

প্রাথমিক স্কুলগুলিতে চালু হয়েছে ‘থ্রি টিচার পলিসি’। প্রাথমিক স্কুলগুলিতে যাতে নূন্যতম তিনজন করে শিক্ষক থাকেন, তা নিশ্চিত করতেই এই পলিসি। মূলত শিক্ষকদের (Teachers) এই অভাব লক্ষ্য করা যায় নদীয়া জেলার কালীগঞ্জ, নাকাশিপাড়া, তেহট্ট-১, ২, করিমপুর অঞ্চলের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে। তাই এবার থেকে গ্রামীণ এলাকাগুলিতে শিক্ষকদের (Teachers) অভাব মেটাতে শহরের স্কুলগুলি থেকে বদলি করানোর উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে।

Government to take new policy for teachers in primary school

শহরাঞ্চলে ছাত্রের তুলনায় বেশি শিক্ষক: নদীয়া জেলার ডিপিএসসি বোর্ডের চেয়ারম্যান জানান, আগে অনেক প্রাথমিক স্কুলে একজন করেই শিক্ষক (Teachers) ছিল। পরে সেখানে দুজন করে শিক্ষকের ব্যবস্থা করা হয়। আর এবার থ্রি টিচার পলিসির অধীনে স্কুলগুলিতে তিনজন করে শিক্ষক (Teachers) দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। জানা যাচ্ছে, নদীয়ায় ৩৭ টি সার্কেলে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১০ হাজার। এদিকে শহর এবং শহর সংলগ্ন অঞ্চলে প্রায় ৩৫০ টি স্কুলে ছাত্র সংখ্যার তুলনায় শিক্ষক (Teachers) সংখ্যা বেশি। জানা যাচ্ছে, বেসরকারি স্কুল বেশি থাকায় ওই অঞ্চলে স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা অনেকটাই কম।

আরো পড়ুন : ‘কাজের মান কোথায় নেমেছে, সবাই অর্থলোভী’! টলিউডের ‘দুরবস্থা’ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিপ্লব চ্যাটার্জি

অতিরিক্ত শিক্ষকদের নিয়ে চিন্তাভাবনা: এদিকে গ্রামীণ স্কুলগুলিতে শিক্ষক (Teachers) সংখ্যা কম থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় অভিভাবকদেরও। পড়াশোনার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। অভিযোগ, শহরাঞ্চলের স্কুলগুলিতে এমন অনেক শিক্ষকই রয়েছেন যারা বদলির অর্ডার আসা সত্ত্বেও প্রভাব খাটিয়ে বছরের পর বছর ধরে রয়ে গিয়েছেন একই স্কুলে। প্রশাসনিক আধিকারিকদের মতে, যান চলাচল কম থাকায় গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলিতে যেতে চান না প্রায় ৭০০ অতিরিক্ত শিক্ষক। এদিকে জেলার মধ্যে প্রায় ৩০০-র বেশি স্কুল ধুঁকছে শিক্ষকের (Teachers) অভাবে।

আরো পড়ুন : বাবার হাতে ধর্ষিত হয়ে অন্তঃসত্ত্বা! সদ্যোজাত সন্তানের সঙ্গে যা করল নাবালিকা… শিউড়ে উঠলেন সকলে

জেলা বিজেপির অভিযোগ, গ্রামের থেকে শিক্ষকরা তৃণমূল নেতাদের টাকা দিয়ে শহরে বদলি নিয়ে এসেছেন। এদিকে শাসক দলের বক্তব্য, প্রাথমিক স্কুলগুলিতে পঠনপাঠন উন্নত করাই সরকারের উদ্দেশ্য। তাই শিক্ষক স্বার্থ বেশি বিঘ্নিত না করে যদি কম শিক্ষক থাকা স্কুলে বদলি করা যায় তাহলে ভালো।