বাংলা হান্ট ডেস্ক : তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘটনাস্থলে না গেলেও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) ঘুরে এসেছেন সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থেকে। আর এইদিন সন্দেশখালি থেকে ফিরেই সোজা দিল্লির (New Delhi) পথ ধরলেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, এই গোটা ঘটনার বিবরণ তিনি দিতে চলেছেন দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দরবারে।
এইদিন সন্দেশখালিতে পা রাখা মাত্রই রাজ্যপালকে ছেঁকে ধরেন স্থানীয় মহিলারা। কান্নায় ভেঙে পড়লেন অত্যাচারিত মহিলারা। রাজ্যপালকে তারা জানান, তারা পুলিশের উপর ভরসা করতে পারছেননা। কিছু করার থাকলে তারা আগেই করতে পারত। পাশাপাশি কেন্দ্রীয়বাহিনী মোতায়েন করারও দাবি তুলেছেন তারা।
সূত্রের খবর, সোমবার সকালেই কোচি থেকে কলকাতায় ফিরেছেন রাজ্যপাল। কলকাতায় পা দিয়েই তিনি পাড়ি জমান সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে। সেখানকার পরিস্থিতি সরেজমিনে তদন্ত করার পরপরই তিনি দিল্লির বিমান ধরেছেন বলে জানা গেছে। শোনা যাচ্ছে, সন্দেশখালির পরিস্থিতি দেখেই তিনি তৎক্ষণাৎ দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন।
আরও পড়ুন : ‘ফার্স্ট ইয়ারে পড়াকালীন মাইনে ছিল ৬০ টাকা’, দিদিমণিবেলার গল্প শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
এইদিন সন্দেশখালির মানুষের সাথে কথা বলার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি কি সন্দেশখালির পরিস্থিতি সম্পর্কে দিল্লিতে রিপোর্ট করবেন? জবাবে তিনি বলেন, “আমি এই সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় যা বলার বলব।” তারমধ্যেই রাজ্যপালের এই ঝটিকা সফর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আম জনতার মনে।
আরও পড়ুন : বাংলার জেলে গর্ভবতী হয়ে পড়ছেন মহিলা কারাবন্দিরা! অভিযোগ শুনে বড় পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের
এইদিন সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, “এখানে প্রত্যেকে আমার বোন। তাদের সম্মান রক্ষার্থে যা করণীয় আমি তাই করব। আমি সার্বিক ভাবে আজ যে ছবিটা দেখলাম তা আমাকে মর্মাহত করেছে। যা আজ দেখলাম, তা আগে দেখিনি। আমি আজ অনেক কিছুই শুনলাম, যা আগে শুনিনি। আইন আইনের পথে না চললে মানুষ বিপন্ন বোধ করেন।”