মন্দিরে আরতি হতে পারলে, মাইকে আজান বন্ধ কেন! লাউডস্পিকার বন্ধের আর্জি খারিজ হাইকোর্টের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভোরে মাইকে যে আজান (Azan) শোনা যায়, তাতে শব্দদূষণ হয়! তাই মাইকে আজান শোনানো বন্ধ হোক। এমনটাই দাবি করে গুজরাত হাইকোর্টের (Gujarat High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু সেই দাবি খারিজ করে দিলেন বিচারপতি।

ওই ব্যক্তির করা পিটিশন খারিজ করে দিয়ে উচ্চ আদালত পাল্টা প্রশ্ন করল, মন্দিরে যখন ভোরে ড্রামের বাজনা-সহ আরতি হয়, তখন সেই আওয়াজও কি ছড়িয়ে পড়ে না?

মঙ্গলবার জনস্বার্থের ওই মামলার শুনানির সময় বিচারপতি সুনিতা আগরওয়াল এবং বিচারপতি অনুরুদ্ধ পি মাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, কীভাবে মানুষের কণ্ঠ নিঃসৃত আজান এমন দূষণ তৈরি করতে পারে তা সত্যিই অবোধ্য! বিচারপতি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি না কী করে মানুষের কণ্ঠ নিঃসৃত আজান লাউডস্পিকারে ভোরবেলা শোনা গেলে তা শব্দদূষণ সৃষ্টিকারী ডেসিবেলে পৌঁছে যেতে পারে, যা জনস্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক!’

আরও পড়ুন: অমিত শাহের বিরুদ্ধে পোস্টার ফেলল তৃণমূল! শহরজুড়ে ‘মোটা ভাই, ভোট নাই’

এরই পাশাপাশি মামলাকারী শক্তিসিন জালাকে প্রশ্ন করা হয়, আপনাদের মন্দিরে ভোর তিনটের সময় গান চালিয়ে, ড্রাম চালিয়ে আরতি হয়। সেই শব্দ কারওর কানে যায় না? আপনি বলতে চান ঘণ্টার ধ্বনি কেবল মন্দির চত্বরে সীমাবদ্ধ থাকে? তা মন্দিরের বাইরে যায় না? এরপরই বলে দেওয়া হয় এমন আর্জি শুনতে রাজি নয় আদালত। আদালত জানাই এটা বিশ্বাসের বিষয়, বছরের পর বছর চলে আসছে। আর এর স্থায়িত্ব ৫-১০ মিনিটই।’


Monojit

সম্পর্কিত খবর