বাংলাহান্ট ডেস্কঃ উৎসবের আবহে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা বাংলাদেশ (bangladesh) জুড়েই। দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে অষ্টমী থেকেই ছড়িয়েছে একাধিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা। কুমিল্লা জেলার নানুয়া দীঘিতে একটি দুর্গা পুজো মন্ডপের পর এক এক করে প্রতিমার উপর আঘাত হানার খবর উঠে এসেছে চাঁদপুর, চট্টগ্রামের মতো বিভিন্ন জায়গা থেকে।
একাধিক জায়গায় ভেঙে দেওয়া হয় দুর্গাপুজো মণ্ডপ, হামলা চালানো হয় মন্দিরেও। এই আক্রমণের শিকার হন সংখ্যালঘু হিন্দুরা। বেশ কয়েকজন মারাও গিয়েছে এবং আহতের সংখ্যাও প্রচুর। এই পরিস্থিতিতে সরব হয়েছেন ভারতের বহু বিশিষ্ট জনেরা।
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এমনকি দিলীপ ঘোষও। এবিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খোলা চিঠি লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘটনার নিন্দা করে জানিয়েছিলেন, ঘটনায় দোষীদের একদমই ছেড়ে দেওয়া হবে না। কিন্তু তারপরও নোয়াখালির ইসকনের মন্দিরে ভাঙ্গচুরের ঘটনায় নিহত হন ২ জন।
যদিও এই বিষয়গুলোকে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যকার বিভেদ হিসেবে দেখতে চাইছেন না কলকাতার পুর-প্রশাসক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (firhad hakim)। তিনি জানান, ‘শুধু শুধু অস্থির হওয়ার কোন কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেখানকার সাম্প্রতিক ঘটনা ভালোভাবে মোকাবিলা করছেন’।
তিনি আরও বলেন, ‘এটা একেবারেই হিন্দু-মুসলমানের সংঘর্ষের বিষয় নয়। এমন ঘটনা কোন ধর্মের মানুষই ঘটাতে পারেন না। ধর্ম মানে না যারা, তারাই এমন কাজ করে। অপরাধী তাঁরা। আমি মনে করি ধর্মনিরপেক্ষ হাসিনা সরকার, এই ঘটনার বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ নেবেন’।