বাংলা হান্ট ডেস্ক: শীতকাল পড়তে না পড়তে বারবার আপনার ও কি চা অথবা কফি খাওয়ার হুজুক রয়েছে। কারণ এই শীতে গরম কফিতে চুমুক দেওয়া তৃপ্তি। আর সেই তৃপ্তি যখন হয়ে ওঠে শরীরের (Health) জন্য ক্ষতিকারক তখন চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। তবে আপনি যদি এই শীতের সময় গরম কিছু পান করতে চান তাহলে পান করতে পারেন এই তিন ধরনের পানীয়। যা পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্যর মতন সমস্যা গুলো দূর করবে। পাশাপাশি শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
শীতে কফি নয়, ট্রাই করুন ৩ গরম পানীয় (Health)
শীতকাল পড়লে পরে একটু বেশি চা-কফি খাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকদের মতে চা অথবা কফি বেশি খাওয়া উচিত নয়। কারণ এর মধ্যে থাকা ক্যাফিন শরীরের কুপ্রভাব ফেলতে পারে (Health)। পাশাপাশি দুধ ও চিনি দিয়ে বারবার চা অথবা কফি খেলে পরে তা স্বাস্থ্যের জন্য অপকারী। এর জন্য চিকিৎসকরা বারবার চা বা কফি না খেয়ে বেছে নিতে বলেছে এই তিন ধরনের পানীয়।

আরও পড়ুন: বিয়ের মরশুমে খুশির খবর! কমল সোনার দাম, ১০ গ্ৰাম হলুদ ধাতুর দর কত?
পাঞ্জিরি দুধ: উত্তর ভারতে যেহেতু শীত বেশি। তাই এইখানে শরীরকে গরম রাখতে খাওয়া হয় পাঞ্জিরি দুধ। এই দুধ কিভাবে বানাবেন তা দেখে নিন। প্রথমে গঁদ (এক ধরনের আঠা যা খাওয়া হয়) কড়াইয়ে হালকা নাড়াচাড়া করে নিতে হবে। তারপর একটি কড়াইয়ে একে একে কাজু, কাঠবাদাম, কিশমিশ, আখরোট, মাখানা, কুমড়োবীজ রোস্ট করে নিন। এরপর একটি কড়াইয়ে ঘি দিয়ে তাতে বেসন এবং আটা ভাল করে ভেজে নিন। এবার তার মধ্যে রোস্ট করে নেওয়া বাদাম, মাখানা, গঁদ মিক্সারে গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিন। স্বাদমতো নুন দিন। বেশ কিছুক্ষণ আঁচ কমিয়ে নাড়াচাড়া করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে পাঞ্জিরি। এটা ছোট থেকে বড় সকলেই পান করতে পারেন।
বাজরে কি রাব: রাজস্থানে বাজরার আটা এবং দই দিয়ে তৈরি এই পানীয়টি শীতের দিনে খাওয়ার জল রয়েছে। এর জন্য এক কাপ টক দই ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এরপর তার মধ্যে আটা ও জল মিশিয়ে নিন। তারপর সেটি ভালোভাবে ফেটিয়ে কড়াইতে ২০ থেকে ২৫ মিনিট ভালো করে নাড়াচাড়া করুন। এরপর তাতে পরিমাণ মতন নুন ও লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে নামিয়ে নিন। তারপর এটি পরিবেশন করুন।
কাওয়া: কাশ্মীরি চাকে কাওয়া বলা হয়। কাঠবাদাম, কেশর, গ্রিন টি মিশে এই পানীয়টি তৈরি করা হয়। এটি শুধুমাত্র খেলে পরে যে শরীর গরম থাকবে তা নয় (Health)। শরীর গরম রাখার পাশাপাশি এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই এটি বানানোর জন্য একটু পাত্রে গরম জল নিয়ে তাতে দারচিনি ও এলাচ যোগ করুন। এবার তার মধ্যে কেশর ও গোলাপের পাপড়ি দিয়ে দিন। তারপর জল ফুটে উঠলে গ্রিন টি দিয়ে আঁচ বন্ধ করে রাখুন। এরপর চিনি অথবা মধু দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।












