বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভালো থাকতে গেলে যেমন শরীরচর্চার প্রয়োজন। তেমনই প্রয়োজন সঠিক খাবারের। বর্তমান সমাজে ভালো স্বাস্থ্য রাখার জন্য নানা রকম কৌশলের সন্ধান মেলে ফোনের একটি ক্লিকে। এছাড়াও, ভালো স্বাস্থ্য রাখার জন্য সমাজমাধ্যমে চলে বিস্তার চর্চা।পাশাপাশি ভালো স্বাস্থ্য রাখতে গিয়ে অনেকে দামি ফুড কিংবা নিত্য প্রয়োজনীয় খাবারের থেকে দামি খাবার খেয়ে থাকছেন। এই দামি খাবার গুলি সুপার ফুড (Super food) নামে পরিচিত। তবে, আজ আপনাদের এমন কিছু এমন খাবারের সন্ধান দেবো যা আপনার স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে (Health Tips) সাহায্য করবে।
শরীর সুস্থ রাখতে ভারতের এই চেনা খাবার গুলো টেক্কা দেবে অ্যাভোকাডো, কিনোয়াকেও (Health Tips)
বর্তমান সমাজে কিনোয়া, অ্যাভোকাডো, কালে এগুলির চল বেশি। এমনকি, এই খাবার গুলিকে সুপার ফুড বলা হয়। কিন্তু,কিনোয়া, অ্যাভোকাডো, কালে’র দাম এতটাই বেশি যে সবাই এই দ্রব্য গুলো কিনতে পারে না। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন, কিনোয়া, অ্যাভোকাডো, কালে’তে যে সকল প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের সমন্বয় মেলে তা ভারতের এই চেনা খাবারে পাওয়া যায়।
বর্তমানে কিনোয়ার চল সর্বত্র দেখা যায়। তবে আপনি জেনে অবাক হবেন, এই কিনোয়ার বদলে খেতে পারেন কাউনের চাল। কিনোয়া মূলত ফুলজাতীয় গাছের দানা। কিনোয়ায় রয়েছে গ্লুটেন ফ্রি হোল গ্রেন কার্বোহাইড্রেট। এতে যেমন কার্ব আছে, তেমনই প্রোটিনে ভরপুর। তবে কিনোয়াই যে খেতে হবে এমনটা নয়। বদলে কাউনের চালও খাওয়া যেতে পারে। এতেও রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, বি ভিটামিন। কাউনের চালে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জ়িঙ্ক, আয়রন এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট আছে। এমনকি এটিও গ্লুটেন ফ্রি।
অ্যাভোকাডোর বদলে খেতে পারেন নারকেল। ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটি অ্যাসিডে পরিপূর্ণ অ্যাভোকাডো। এই ফলটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। এ দেশে অ্যাভোকাডো এখন মিললেও অন্যান্য ফলের চেয়ে দাম বেশি। পুষ্টিবিদরা বলছেন, অন্যান্য ফলের চেয়ে এতে ক্যালোরির পরিমাণ একটু বেশি। তবে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে কম। এই অ্যাভোকাডোর পরিবর্তে ভারতের চিরপরিচিত ফল নারকেলও কিন্তু পুষ্টিগুণে কম যায় না। নারকেল টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে অ্যাভোকাডোকে।
আরও পড়ুন: শিকারের খোঁজে অবিকল মানুষের মতো দাঁড়িয়ে চিতাবাঘ, ভিডিও দেখে হতবাক নেটিজেনরা
কালের বদলে খেতে পারেন সজনে পাতা। এই পাতায় আয়রন, ভিটামিন কে, ফোলিক অ্যাসিড, রাইবো ফ্ল্যাভিন, ভিটামিন সি-সহ নানা রকম উপাদান থাকে। সবুজ এই সব্জিটির পুষ্টিগুণের জন্য এ দেশেও কেউ কেউ খাওয়া শুরু করেছেন বর্তমানে। তবে কালের বদলে পাতে রাখতে পারেন সজনেপাতা। সজনে গাছের পাতা, ডাঁটা, ফুল সবকিছুতেই রয়েছে কালের পাতার প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালশিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-১, বি-২, ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম। পুষ্টিগুণের হিসাব কষলে কালের মতো সবজিকে টেক্কা দিতে পারে বাংলার চিরপরিচিত সজনেপাতা।