বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের আদালতে মুখ পুড়ল মমতার পুলিশের। ভোটের মাঝেই গত মঙ্গলবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কোলাঘাটের ভাড়াবাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল কোনও তল্লাশি পরোয়ানা না থাকা সত্ত্বেও তার ভাড়াবাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছিলেন শুভেন্দু। এদিন সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, আপাতত ১০ জুন পর্যন্ত কোলাঘাটে বিরোধী দলনেতার অফিস বা বাড়িতে তল্লাশি করতে পারবে না পুলিশ।
এদিন আদালতে রাজ্যের তরফে আইনজীবী জানান, ওই বাড়িটিতে যে শুভেন্দু অধিকারী থাকেন বা তার নামে ভাড়া দেওয়া সেই বিষয়ে অবগত ছিল না পুলিশ। পাশাপাশি যে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সেই মামলায় শুভেন্দু অভিযুক্ত বা সাক্ষী নন বলেও আদালতে আদালতে স্পষ্ট কথায় জানায় রাজ্য।
এদিন আদালতে শুভেন্দুর আইনজীবীর সওয়াল, পুলিশের কাছে কোনও তল্লাশি পরোয়ানা না থাকা সত্ত্বেও মঙ্গলবার তার মক্কেলের অফিস এবং ভাড়াবাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ। নির্বাচনের সময় শুভেন্দুকে উত্ত্যক্ত করতেই পুলিশ এই পদক্ষেপ নেয় বলে অভিযোগ তোলেন আইনজীবী। পাল্টা রাজ্যের দাবি, পুলিশের কাছে থাকা নথি অনুযায়ী, ওই বাড়ির মালিক সুরজিৎ দাস নামে এক ব্যক্তি। ওখানে শুভেন্দু অধিকারী থাকেন বলে কোনো খবর ছিল না তাদের কাছে।
এদিন বিচারপতি সিনহার এজলাসে মামলার শুনানিতে রাজ্য জানায়, গত মঙ্গলবার বিকাল ৫টা নাগাদ পুলিশ অভিযোগ পায় যে, ওই বাড়িতে প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র মজুত করে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। খবর পেয়েই পুলিশ তল্লাশি অভিযান শুরু করে। ফ্লাইং স্কোয়াডকেও খবর দেওয়া হয়। সাড়ে ছ’টা নাগাদ তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। রাত ১২টার পর অপরাধ রুজু হয়। পাল্টা শুভেন্দুর আইনজীবীর দাবি, ওই দিন ওই বাড়িতে কোনও ফ্লাইং স্কোয়াড আসেনি।
আরও পড়ুন: কলকাতা সহ বাংলার এই সাত জেলায় দুদিন দুর্যোগ! ঝড় বৃষ্টির অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি: আবহাওয়ার খবর
দু’পক্ষের যুক্তি শুনে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘‘একটা অভিযোগ পেয়েই পুলিশ চলে গেল? কোনো রকম অনুসন্ধান করল না? এ রকম তল্লাশি অভিযানের ক’টা উদাহরণ রয়েছে?’’ এরপরই ১০ জুন পর্যন্ত বিরোধী দলনেতার কোলাঘাটের অফিস বা বাড়িতে তল্লাশিr ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতদেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। তবে এই সময়ের মধ্যে জরুরি কোনও নির্দেশের প্রয়োজন হলে রাজ্য আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবে, সেই রাস্তা খোলা আছে বলেও জানায় হাইকোর্ট।