বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। হাইকোর্ট পেরিয়ে বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে চলছে মামলা। তবে সুরাহা হয়নি। এরই মাঝে বেতন বা ভাতা (Salary and Allowances) সংক্রান্ত অন্য এক মামালায় গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের (High Court)। বেতন বা ভাতা আটকে রাখলে কি নিয়োগকর্তা সংশ্লিষ্ট কর্মীর সঙ্গে প্রতারাণামূলক অপরাধ করছেন? এই নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিল বম্বে গাই কোর্ট।
রাজীব বানসাল এবং অন্যান্য বনাম মহারাষ্ট্র ও অন্যান্যের মামলায় বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি এন জে জমাদারের সিঙ্গেল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কোনো কর্মীর বেতন বা ভাতা আটকানো প্রতারণা বা অপরাধের পরিধির মধ্যে পড়ে না। জানিয়ে রাখি, এয়ার ইন্ডিয়া যখন সরকারি সংস্থা ছিল, সেই সময় পারফর্ম্যান্স লিঙ্কড ইনসেন্টিভ আটকে রাখা নিয়ে করা এক মামলার ভিত্তিতে আদালত এই মন্তব্য করে।
আসলে ২০১৩ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ থাকায় ২টি বিজ্ঞপ্তি জারি করে পারফর্ম্যান্স লিঙ্কড ইনসেন্টিভের ২৫ শতাংশ আটকে দেওয়া হয়। যদিও এয়ার ইন্ডিয়া সেই সময় শিল্প বিবাদ আইনের ৯এ নং ধারার অধীনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের বিধিবদ্ধ নোটিশ জারি করেনি। এই বিজ্ঞপ্তি গুলির বিরুদ্ধে রিট পিটিশন দায়ের করা হলে বম্বে হাই কোর্ট সেগুলোকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছিল।
তবে বম্বে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল যে শ্রমিকরা রায়ের তারিখের থেকে সেই সুবিধা পেয়েছিলেন সেই একই সুবিধা পাওয়ার অধিকারী হবেন। এরপর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, যদি এয়ার ইন্ডিয়া নিজের শ্রমিকদের পরিষেবার শর্তে কোনো পরিবর্তন আনতে চায় তাহলে সংস্থাকে ২০১৪ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সেই বিষয়ক নোটিস দিতে হত।
এরপর বম্বে হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। যেই মামলার আজও কোনো সুরাহা হয়নি। যদিও পরে আর্থিক অবস্থা ঠিক হয়ে এরই মধ্যে কর্মীদের বকেয়া বেত মিটিয়ে দেয় এয়ার ইন্ডিয়া। তবে বকেয়ার ওপরে কোনও সুদ না দেয়ায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ৪০৯, ৪১৫ এবং ৪২০ ধারায় মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘বিরোধী দলনেতাকে..,’ ভোটে হারতেই ফোঁস! এবার বিরাট অভিযোগ রেখার, BJP-তে শোরগোল
এই মামলায় প্রথমে মুম্বইয়ের জেলা দায়রা জজ জানান, প্রাথমিক ভাবে এটি প্রতারণার মামলা মনে হচ্ছে। এরপর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বম্বে হাই কোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করা হয়। এতদিনে সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে হাইকোর্ট জানাল কোনো সংস্থার তরফে কর্মীদের বেতন বা ভাতা আটকে রাখা প্রতারণামূলক অপরাধ নয়।