Ekchokho.com 🇮🇳

ইউনূসের বাংলাদেশে ফের হইচই! নির্বাচনের আগে গর্জে উঠলেন হিন্দুরা, দেওয়া হল আল্টিমেটাম

Published on:

Published on:

Hindus are now roaring in Bangladesh.

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছে যে, যদি না তাঁরা সংসদে সংরক্ষিত আসন এবং পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা না পান, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা কোনও জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। এই প্রসঙ্গে গত শুক্রবার ঢাকায় ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবের বাইরে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এই সতর্কীকরণ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে (Bangladesh) গর্জে উঠলেন হিন্দুরা:

বাংলাদেশ (Bangladesh) ন্যাশনাল হিন্দু মহাসভার নেতৃত্বরা জানিয়েছেন যে, প্রতিটি জাতীয় নির্বাচন হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য শাস্তির চেয়ে কম নয়। সংরক্ষিত আসন এবং পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার অভাবে, সংসদে হিন্দুদের উপস্থিতি নেই। এই কারণে, তাঁরা বছরের পর বছর ধরে নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছেন। নেতৃত্বরা জানিয়েছেন যে, যদি সরকার তাঁদের দাবিতে কর্ণপাত না করে, তাহলে হিন্দু সম্প্রদায় ভোটকেন্দ্র বয়কট করবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করবে।

Hindus are now roaring in Bangladesh.

হামলা, গ্রেফতার এবং সম্পত্তি দখলের অভিযোগ: ইতিমধ্যেই হিন্দু মহাসভার সভাপতি দীনবন্ধু রায়, কার্যকরী সভাপতি প্রদীপ কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক এবং সংগঠনের অন্যান্য বর্ষীয়ান নেতৃত্বরা ওই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের মাটিতে দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স গিলের! ভূয়সী প্রশংসা করে কী জানালেন সৌরভ?

এদিকে, ওই প্রতিবাদ সভায় বক্তারা ধর্মের অবমাননার অভিযোগে লালমনিরহাটে পরেশ চন্দ্র শীল এবং বিষ্ণুপদ শীলকে গ্রেফতারের নিন্দা জানান। তাঁরা ওই ঘটনাকে একটি মিথ্যা মামলা এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান অত্যাচারের উদাহরণ হিসেবেও বিবেচিত করেছেন। ওই সভায় বাংলাদেশে (Bangladesh) মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা, মহিলাদের ওপর হিংসাত্মক ঘটনা, জমি দখল এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরের ঘটনারও প্রতিবাদ জানানো হয়।

আরও পড়ুন: ভারতের অর্থনীতিতে বড় চমক! বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে হল বিপুল বৃদ্ধি, কী জানাল RBI?

“আমাদের জমি, আমাদের মন্দির—সবকিছু কেড়ে নেওয়া হয়েছে”: বক্তারা আরও অভিযোগ করেন যে, এখনও পর্যন্ত “শত্রু সম্পত্তি আইন”-এর আওতায় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ২৬ লক্ষ একর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ঢাকার (Bangladesh) একাধিক মন্দির এবং দেব-দেবীর সম্পত্তিও অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। হিন্দু মহাসভার নেতৃত্বরা জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর মানুষ আশা করেছিল যে, প্রত্যেক ধর্ম সমান অধিকার পাবে। কিন্তু সত্য হল প্রশাসনিক কাঠামো থেকে শুরু করে সাংবিধানিক সংস্কার, কোথাও হিন্দু সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ নেই। এমনকি সাংবিধানিক সংশোধনীতে তাঁদের মতামতও বিবেচনা করা হয় না।