বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হুগলি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের (Hooghly District Primary School Council) কাণ্ডে রীতিমতো শোরগোল রাজ্যে। প্রাথমিক শিক্ষক (Primary School Teacher) হিসেবে নিয়োগ পত্র পেলেন মৃত চার জন। ওদিকে ৬৬ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে যাদের বয়স ৬০ বছরেরও বেশি। অর্থাৎ অবসরেরও সময় পেরিয়ে গিয়েছে। আর এই বিষয় নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
এই বিষয়ে হুগলি জেলা প্রাথমিক সংসদের বক্তব্য, ২০১৪ সালের করা মামলার প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দেয়, সেই নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই এই ৬৬ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। একদিকে রাজ্য জুড়ে যখন নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় সেই সময় ভূতুড়ে এই ঘটনায় থ সকলে।
জানা গিয়েছে নিয়োগ পত্র হাতে পাওয়ার পর প্রৌঢ়রা অনেকেই এসেছেন চাকরিতে যোগ দিতে। সেখানে দেখা গেল ৭১ বছর বয়সে চাকরিতে যোগ দিতে এসেছেন এমন মানুষকেও। সূত্রের খবর, এনারা সকলেই ১৯৮০-র দশকের চাকরিপ্রার্থী ছিলেন। তখন বাম আমল। সেই সময় প্যানেলে নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি পাননি তারা।
এরপর ১৯৮৩ সালে ন্যায্য নিয়োগের দাবি তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তারা। তারপর কেটে গিয়েছে কয়েক দশক। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর অবশেষে ২০২৩ সালে তাদের মামলার নিষ্পত্তি হয়। কলকাতা হাইকোর্ট চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে রায় দেয়। আর তারপরই পৌঁছে যায় নিয়োগপত্র। এই বয়সে নিয়োগপত্র পেয়ে স্বাভাবিক ভাবে হতচকিয়ে গিয়েছেন সেই সব প্রবীণ নাগরিকেরা।
আরও পড়ুন: ১২ দিন পরই লটারি! সরকারি কর্মীদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে মোটা টাকা, কারা কত পাবেন?
যেই চাকরির জন্য এত বছর এত লড়াই, এই চাকরি পেয়েই এখন মাথায় হাত। নিয়োগপত্র পেয়েই তড়িঘড়ি কেউ খোঁজ নিতে ছুটেছেন নিয়োগপত্রে উল্লিখিত স্কুলে। কেউ আবার সার্কল অফিসের দ্বারস্থ হয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতির আবহে তাজ্জব এই ঘটনায় অবাক সকলে। এই বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে বাম প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠন এবিপিটিএ।
এই বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, ২০২৩ সালের ২০ ডিসেম্বর এই প্রার্থীদের নিয়োগের রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই ৬৬ জনের নিয়োগপত্র ছাড়া হয়। এরা ২০১৪ সালের ৮ অগাস্ট থেকে এফেক্ট পাবেন।