বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাড়ি তৈরি করা হোক কিংবা কোথাও গভীর গর্ত খনন, এমনকি রাস্তাঘাট নির্মাণের ক্ষেত্রেও যে যন্ত্রটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সেটি হল JCB। মূলত, খননের ক্ষেত্রে এই যন্ত্রটির জুড়ি মেলা ভার। শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং একাধিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সজ্জিত, এই এক্সকেভেশন মেশিন বা আর্থ মুভারকে বলা হয় JCB। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, JCB হল একটি কোম্পানির নাম। যারা আর্থ মুভার মেশিন এবং গ্যাজেট তৈরি করে। কিন্তু এই কোম্পানির এক্সকেভেশন মেশিন প্রচুর পরিমাণে ব্যবহারের কারণে সবাই এটিকে JCB নামেই চিনতে শুরু করে।
কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে সামনে এবং পেছনে সমানভাবে কাজ করতে সক্ষম এই ভারি এবং অত্যধিক শক্তিশালী মেশিনের মাইলেজ কত? পাশাপাশি এর ইঞ্জিনের শক্তিই বা কত এবং প্রতি মাসে এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কত খরচ হয়? বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করছি।
JCB-র মাইলেজ কত: প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে, JCB-র মতো মেশিনের মাইলেজ কিমি-তে পরিমাপ করা যায়না। যেহেতু, এগুলিকে দূরত্ব কভার করার জন্য ডিজাইন করা হয়নি তাই তাদের মাইলেজ ঘন্টার পরিপ্রেক্ষিতে পরিমাপ করা হয়। এমতাবস্থায়, একটি JCB এক ঘণ্টা চালু থাকলে সেক্ষেত্রে ৫ থেকে ৭ লিটার ডিজেল খরচ হয়। তবে, যদি সেটির উপর লোড বাড়ানো হয় সেক্ষেত্রে ডিজেল খরচের পরিমাণ মাঝেমধ্যে ১০ লিটার পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
আরও পড়ুন: LPG-র পর কবে সস্তা হচ্ছে পেট্রল-ডিজেল? পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর ঘোষণা জেনে খুশি হয়ে যাবেন
রক্ষণাবেক্ষণেও প্রচুর খরচ: JCB-র মত বৃহদাকার যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ অর্থাৎ মেন্টেনেন্স খরচও প্রচুর। এর কারণ হল এই মেশিনটি যে কাজে ব্যবহার করা হয় সেই কাজে ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি থাকে। সাধারণত, JCB-র ক্ষেত্রে মাসে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: চিনকে টেক্কা, এবার ভারতে এই বিশেষ চাহিদাপূর্ণ সামগ্রী তৈরি করবেন আম্বানি! প্রস্তুতি তুঙ্গে
শক্তিশালী ইঞ্জিন: JCB-র বিভিন্ন মডেলের পাওয়ার সেগুলির আকার অনুযায়ী হয়। মূলত, ৫০ হর্স পাওয়ার থেকে শুরু করে ২৫০ হর্স পাওয়ার পর্যন্ত যন্ত্র উপলব্ধ রয়েছে। যদিও এটির ইঞ্জিনের ক্যাপাসিটি সাধারণত ৩.০ লিটার থেকে ৬.০ লিটার পর্যন্ত হয়। আসলে, এগুলির গতি উৎপাদনের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। বরং এগুলির মাধ্যমে র-পাওয়ার উৎপন্ন করা হয়।