Ekchokho.com 🇮🇳

রথযাত্রায় জীবনে কীভাবে আসবে সুখ-সমৃদ্ধি? পুণ্য দিনের বিশেষ মাহাত্ম্য জানালেন মহন্ত স্বামী মহারাজ

Published on:

How Ratha Yatra brings happiness and prosperity to life.
Google News
Follow Us

বাংলা হান্ট ডেস্ক: অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে উপস্থিত রথযাত্রা (Ratha Yatra)। শুক্রবার সমগ্র দেশজুড়ে মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে এই উৎসব। ভাই বলরাম ও বোন সুভদ্রাকে নিয়ে রথে চড়ে মাসির বাড়ি যেতে প্রস্তুত প্রভু জগন্নাথ। আর তাঁদের এই সফরে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত ভক্তরাও। সেই কারণেই এই আনন্দ উৎসবে সমগ্র দেশে বিপুল জনসমাগম পরিলক্ষিত হয়।

রথযাত্রার (Ratha Yatra) মাহাত্ম্য:

এদিকে, রথযাত্রা (Ratha Yatra) বলতেই সবার প্রথমে মনে আসে পুরীর রথযাত্রার ছবি। যেখানে লক্ষ্য লক্ষ্য ভক্তের উপস্থিতিতে নিমকাঠ দিয়ে তৈরি সুবিশাল এবং সুদৃশ্য রথে চেপে রাজপথ দিয়ে মাসি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন জগন্নাথ-বলরাম এবং সুভদ্রা। এমতাবস্থায়, এই পুণ্য দিনের বিশেষ মাহাত্ম্য ব্যাখ্যা করে ভক্তদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন স্বয়ং মহন্ত স্বামী মহারাজ।

তিনি জানিয়েছেন, “ভারতীয় সংস্কৃতিতে রথযাত্রা উৎসবের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এই দিন (Ratha Yatra) জগন্নাথপুরীতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, বলরামজী এবং সুভদ্রাজীর মূর্তি পবিত্র রথে তুলে শোভাযাত্রা বেরোয়। সেই শোভাযাত্রায় সামিল হওয়ার জন্য লক্ষ লক্ষ ভক্তের আগমন ঘটে। এইভাবেই সারা ভারতে অসংখ্য স্থানে রথযাত্রার উৎসব ভক্তি এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়।”

স্বামী মহারাজ জানিয়েছেন, “এই উৎসবের (Ratha Yatra) মাধ্যমে সমাজে ধর্মীয় ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এর পাশাপাশি ঐক্য এবং সম্প্রীতিও বজায় থাকে। রথযাত্রার আধ্যাত্মিক মর্ম হল, আমরা আমাদের জীবন রথের রশি ভগবান এবং তাঁর আশীর্বাদ ধন্য ভক্তদের (সাধু-সন্ত) হাতে সমর্পণ করি।”

আরও পড়ুন: কসবায় কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে গণধর্ষণ! স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ গ্রহণ করল জাতীয় মহিলা কমিশন

এর পাশাপাশি তিনি শ্রীকৃষ্ণ এবং অর্জুনের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করে বলেন, “ঠিক যেমনটা করেছিলেন অর্জুন। তিনি নিজেকে সমর্পণ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণের হাতে। তারপরেই তিনি জীবনযুদ্ধে জয়ী হন এবং মোক্ষলাভ করেন।”

আরও পড়ুন: কথা রাখলেন শুভেন্দু! রথযাত্রার শুভ দিনেই পুরী থেকে চলে এল মহাপ্রসাদ, বিলি রাজ্যজুড়ে

স্বামী মহারাজ বলেন, “ঠিক ওইভাবে, আমরা যদি ভগবান এবং ভক্তদের আজ্ঞা অনুসারে জীবনরথ এগিয়ে নিয়ে যাই তাহলেই দেখবেন ভগবান নিজেই আমাদের সুখ-দুঃখ, পার্থিব এবং অপার্থিব চাহিদার খেয়াল রাখছেন।” তিনি রথযাত্রার (Ratha Yatra) এই পুণ্য দিনে প্রত্যেকের জীবনে সুখ-সমৃদ্ধির জন্যও প্রার্থনা করেছেন।