ঠান্ডা পড়তেই পা ফেটে “চৌচির”? এড়িয়ে চলুন এই ভুলগুলি, পাবেন নরম, সুন্দর গোড়ালি!

বাংলা হান্ট ডেস্ক: শীতকাল মানেই শুরু ত্বকের যত্ন। স্নানের পর তেল, বডি লোশন, ময়েশ্চারাইজার মাখতে মাখতে দিন শেষ। অনেকেই ভাবেন পা ভালো করে পরিষ্কার করে নিলে একটু ময়েশ্চারাইজার কিংবা তেল মেখে নিলেই পায়ের যত্ন নেওয়া শেষ। কিন্তু দেখা যায় তারপরেও শীতে পা ফেটে (Cracked Heel) একেবারে দফারফা অবস্থা। একেই শীতকাল তার উপর পা ফাটার (Cracked Heel) যন্ত্রণা যেনো আরো বাড়িয়ে তোলে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, পা ফাটার পিছনে রয়েছে আপনাদের নিজেদেরই ভুল।

পা ফাটার (Cracked Heel) পিছনে রয়েছে বিশেষ কিছু কারণ:

আমরা সবকিছু যত্ন নিলেও পায়ের যত্ন নিতে ভুলে যাই। ত্বকের জন্য ক্লিনজার, ফেসওয়াশ, সিরাম ইত্যাদি বিভিন্ন দ্রব্য ব্যবহার করেন। কিন্তু পায়ের ক্ষেত্রে শুধু সাবান দিয়েই যত্ন শেষ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পায়ে যত্নে আমরা প্রতিনিয়ত ভুল করে যাচ্ছি। বিশেষ করে শীতকালে যত্ন আত্তির বিশেষ ত্রুটি দেখা যায়। এর ফলেই পা ফাটা (Cracked Heel) শুরু হয়। তাই চেষ্টা করুন এই ভুলগুলি শুধরে নেওয়ার।

ঠিক কোন কোন ভুলগুলি শুধরে নেবেন:

১) জুতো: পা ফাটার (Cracked Heel) সবথেকে বড় কারণ হচ্ছে জুতো পরিধানে ভুল। অনেকেই আছেন টাকা সাশ্রয়ের জন্য কম দামি জুতো কিংবা চটি ব্যবহার করেন। এই সমস্ত জুতো পায়ের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। জুতো যদি অতিরিক্ত শক্ত কিংবা মোটা হয় সেক্ষেত্রে আপনার পায়ের নরম গোড়ালি ঘষা লাগতে লাগতে ফাটতে শুরু করে। আর শীতকালে যেহেতু পায়ের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, ফলে পা ফাটার সম্ভাবনা আরো বেশি বাড়তে থাকে। চেষ্টা করুন শীতকালে পা ঢাকা এবং নরম জুতো ব্যবহার করার। বিশেষ করে নিত্য অফিস যাত্রীরা এ বিষয়ে খেয়াল রাখুন।

How to take care of your feet to avoid cracked heel in winter

২) মোজা: শীতকালে বেশিরভাগ সকলেই মোজা পরে থাকেন। ঘরে হোক কিংবা বাইরে মজা পড়ার জন্য সর্বদা উল কিংবা সুতির কাপড় ব্যবহার করুন। আর হ্যাঁ প্রতি এক দুদিন অন্তর অন্তর পরিষ্কার করে নেবেন। ময়লা মোজা দিনের পর দিন ব্যবহার করবেন না। এতে থাকা পায়ে ছত্রাক জন্মাতে পারে। তাই ময়লা মোজা ব্যবহার করা থেকে এড়িয়ে চলুন।

৩) ভেজা পা: শীতকালে চেষ্টা করুন পা শুকনো রাখার। অতিরিক্ত জল পায়ের গোড়ালি আলগা করতে পারে। এমনকি অনেক সময় দেখা যায় পা ফেটে গিয়ে রক্তপাত হতে শুরু করেছে। বিশেষ করে বাড়ির গৃহিণীরা অতিরিক্ত জলের কাজ করার ফলে এই সমস্যা দেখা দেয়। তাই কাজ শেষে সবসময় পা মুছে ফেলার চেষ্টা করুন।

আরও পড়ুনঃ হাসিনা সরকার পতনের জের, বাংলাদেশি ছবি থেকে বাদ ঋতুপর্ণা, জায়গা নিলেন শ্রীলেখা!

৪) পায়ের নখ: পায়ের পাশাপাশি নখ পরিষ্কার রাখাও অত্যন্ত জরুরী। বিশেষ করে যারা নিত্যদিন বাইরে কাজ করতে যান তাদের এ বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত। নইলে পায়ের নখে জমে থাকা ময়লা পায়ের ত্বককে ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে। এতে থেকে বিভিন্ন রকমের রোগ জীবাণুও সৃষ্টি করে। ঠান্ডা জলে পা না ধুয়ে গরম জলে পা ধোয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে পায়ের নখে থাকা সমস্ত ময়লা বেরিয়ে আসে।

আরও পড়ুনঃ সংঘাতের আবহেই কর্তব্য করল ভারত! ওপার বাংলায় পাঠাল ৭০-৮০ কোচের মালগাড়ি, কী আছে ওটায়?

৫) ময়েশ্চারাইজার: শীতকালে ত্বকের পাশাপাশি পা’কেও আদ্র রাখা উচিত। কারণ এই সময় পায়ের ত্বক অত্যন্ত শুকিয়ে যায় এবং পায়ের চামড়া আলগা হতে থাকে। তাই চেষ্টা করুন, এই সময় দিনে ২ থেকে ৩ বার পায়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার। এতে করে পায়ের ত্বক পুষ্টি পাবে এবং ত্বকের যত্নও হবে। পা ফাটাও (Cracked Heel) কমে যাবে।

Sunanda Manna
Sunanda Manna

সুনন্দা মান্না, বাংলা হান্টের স্ক্রিপ্ট রাইটার। গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতা করার পর থেকেই সংবাদ মাধ্যমে কাজ শুরু। দেশ থেকে বিদেশ, রাজনীতি, বিনোদন বিভিন্ন তথ্যই আপনাদের কাছে তুলে দেওয়া আমার মূল লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর