বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাধারণত কুকুর প্রভু ভক্ত প্রাণী হিসেবে আমাদের সকলের কাছে পরিচিত। বাড়িতে হোক কিংবা রাস্তায়, চোর-ডাকাতকে শায়েস্তা করা থেকে অন্যান্য একাধিক কাজে কুকুর খুবই উপকারী প্রাণী হিসেবে বিবেচিত হয়। একাধিক ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন দৃশ্য দেখা যায় যেখানে একটি কুকুর পরম ভালোবাসায় ভরিয়ে দেয় তার মালিককে। আর এবার তাদের জন্য হাওড়ার সাঁপুইপাড়া অঞ্চলে এমন এক উদ্যোগ নেওয়া হলো, যা বর্তমানে সর্বত্রই প্রশংসা কুড়িয়েছে।
হাওড়া জেলার সাঁপুইপাড়া অঞ্চলে রাস্তার কুকুরদের জন্য নতুন একটি খাবারের স্থান তৈরি করা হয়েছে। বাসু কাঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে কুকুরদের কথা মাথায় রেখেই এটি তৈরি করা হয়েছে বলে খবর। আপাতত গোটা এলাকায় পাঁচটি জায়গায় এহেন খাবারের স্থান তৈরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সৌমেন্দ্র গায়েন। তাঁর প্রশংসা করে এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, “বর্তমানে বাংলায় যেভাবে তীব্র গরম পড়েছে, সেখানে পথ কুকুরদের খুবই কষ্ট হয়। অধিকাংশ সময়ে তারা ঠিকমতো খাবার কিংবা জল পর্যন্ত পায়না। এক্ষেত্রে তাদের জন্য আলাদা করে খাওয়ার স্থান তৈরি করে খুবই ভালো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
এ বিষয়ে সৌমেন্দ্র বাবু বলেন, “আমাদের কাছে সম্প্রতি 40000 টাকার একটি ফান্ড এসেছিল। কিন্তু এই পরিমাণ টাকাটা আমরা কোন খাতে ব্যবহার করব, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে থাকি। এই সময়, আমাদের মাথায় আসে যে মানুষের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা, জল রাস্তাঘাট এবং আলোর ব্যবস্থা করা যেমন আমাদের প্রাথমিক দায়িত্ব, ঠিক তেমনিভাবে রাস্তার কুকুর কিংবা অন্যান্য পশু প্রানীদের সেবা করাও আমাদের অপর এক প্রধান দায়িত্ব। আর সেই কথাটি মাথায় আসতেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিই।”
তিনি আরো বলেন, “রাস্তার কুকুরদের খাওয়ার জন্য এই জায়গাটি তৈরি করা হয়েছে। এই ব্যবস্থাটি কার্যকর করতে আমাদের সাত থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে এই ধরনের উদ্যোগ বাংলার বুকে এই প্রথম এবং আমার মনে হয়, আমাদের চারপাশে থাকা পশুপাখিদের নিয়ে চিন্তাভাবনা করা সকল মানুষেরই দায়িত্ব।”
পথ কুকুরদের খাওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়ার পরই এদিন এই সকল স্থানে পথ কুকুরদের দেখা মেলে। এলাকাবাসীদের মতে, “অতীতে রাস্তার ওপরে নোংরা স্থানেই কুকুরদের জন্য খাবার দিতে হতো এবং সেই নোংরা খাবার তাদেরকে খেতে হতো। কিন্তু বর্তমানে পঞ্চায়েত সদস্যদের এই উদ্যোগের ফলে পরিস্কার জায়গায় তারা খাবার খেতে পারবে। এটি এক ভাল প্রচেষ্টা।”