বাংলা হান্ট ডেস্ক : সরকারের নিয়ম (Government Rules) অনুযায়ী, স্বামীর মৃত্যুর পর পেনশন (Pension) পাওয়ার কথা স্ত্রীর। তবে কোনও ব্যক্তির যদি দু’বার বিয়ে হয়ে থাকে? অর্থাৎ স্বামীর মৃত্যুর পর যদি দুই স্ত্রীই সেই পেনশনের দাবি করেন তাহলে কে পাবে সেই টাকা? প্রশ্নটা যে সত্যিই ভাববার মত তা অস্বীকার করার উপায় নেই। আর সম্প্রতি কর্নাটক (Karnataka) থেকে এমনই একটি ঘটনা সামনেও এসেছে।
বিতর্কিত এই বিষয়টি আদালতের নজরে আসে একজন মৃত রেলওয়ে (Indian Railways) আধিকারিকের দ্বিতীয় স্ত্রী (Second Wife) উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করার পর ৷ এর আগে ফ্যামিলি কোর্টে মামলা হেরে যাওয়ায় রীতিমত বিপাকে পড়েছিলেন তিনি। কারণ সেখানে মহামান্য বিচারপতি ঐ মৃত রেল আধিকারিকের প্রথম স্ত্রীকেই পেনশনের ভাগীদার বলে জানিয়েছিলেন।
যার ফলে সাউথ ওয়েস্টার্ন রেলওয়ের আধিকারিক রমেশ বাবুর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী পুষ্পাকে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়। বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্নর বেঞ্চের তরফে সাফ কথায় জানিয়ে দেওয়া হয়, পেনশন সংক্রান্ত নিয়মাবলী মেনেই দ্বিতীয় স্ত্রীও পেনশন পাওয়ার অধিকার রাখেন। তবে সেক্ষেত্রেও রয়েছে একটি বিশেষ শর্ত।
আরও পড়ুন : তৃণমূল-তৃণমূল লড়াই তুঙ্গে! ‘ফাইল খুললে পালানোর পথ পাবেন না!’ অর্জুনকে হুমকি সোমনাথের
আসলে মামলার শুনানি চলাকালীন প্রথম স্ত্রীর আইনজীবী সওয়াল করেন, দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে ওই কেলকর্মীর বিয়ে ভারতীয় হিন্দু বিবাহ আইন অনুসারে হয়নি। তাই আইনত প্রথম স্ত্রীই এই পেনশনের অধিকারী। তখনই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, কর্মী বা তার পরিবার পেনশন পাবেন কি না তা ঠিক করা হয় পেনশন নীতির নিয়মমালা দেখে। সেই নিয়ম মেনেই ঠিক করা হবে কে পেনশন পাবেন আর কে পাবেননা!
আরও পড়ুন : নতুন বছরে বাড়ল ৩ টি ছুটি, জন্মাষ্টমী থেকে ছট পুজোয় মিলবে ‘হলিডে’! নয়া তালিকা দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার
বেঞ্চ জানায়, ‘নীতি বলছে, এক জন কর্মীর একাধিক বিধবা স্ত্রী পেনশনের দাবি জানাতে পারেন। তাদের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করে দিতে হবে পেনশন।’ তবে সেক্ষেত্রে দুই স্ত্রীর কাছেই বিয়ে সংক্রান্ত সঠিক নথী থাকতে হবে। এবং বৈধ প্রমাণপত্র থাকলে দুজনেই পেনশনের অধিকারিণী হবেন। উল্লেখ্য, ১৯৯৩ ‘রেলওয়ে সার্ভিসেস(পেনশন) রুলস’-এর সংশোধন হয় ২০১৬ সালে। এবং নয়া ‘রেলওয়ে সার্ভিসেস(পেনশন) অ্যামেন্ডমেন্ট রুলস’এ বলা হয়, এক বা একাধিক বিধবা স্ত্রীও পেনশনের ভাগীদার ৷ সেক্ষেত্রে পেনশনের টাকা সমানভাবে ভাগ হয়ে যাবে। এবং এই নীতির কথা তুলে ধরেই বিচারপতি জানান, পেনশনের ৫০ শতাংশ ঐ মৃত রেলকর্মীর দ্বিতীয় স্ত্রীয়ের প্রাপ্য।