বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের (COVID -19) আতঙ্কে আতঙ্কিত গোটা বিশ্ব। পৃথিবী জুড়ে এই মহামারির পরিস্থিতির হাত থেকে নিস্তার পেয়ে মরিয়া সকলেই। এই সময় SAARC অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো একত্রিত হয়ে এক বৃহৎ আকারের ফান্ডের ব্যবস্থা করে। ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও (Narendra Modi) সেই ফান্ডে ভারতের পক্ষ থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার হবে বলে ঘোষণা করেন।
SAARC অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সম্প্রতি এক ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। এই কনফারেন্সে পাকিস্তানের (Pakistan) স্বাস্থ্য মন্ত্রী আংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) এই সভায় অংশ্রগহণ করেননি। তাঁর এই অংশগ্রহণ না করা নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়। এই সভায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কাশ্মীর বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
করোনার মোকাবিলার কথা না চিন্তা করে, এই সময় তাঁদের কাশ্মীর বিষয়ে প্রশ্ন তোলা নিয়ে পাকিস্তানের মধ্যেই এখন বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। এই কারণে পাকিস্তানের পুরসাংসদ ফারাতুল্লা বারব পাক প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা করেন। এবং তিনি বলেন, ‘SAARC দেশের বৈঠকে সব দেশের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন, শুধু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। ইমরান খান একজন অবুঝ, একগুঁয়ে এবং তিনি নিজের রাগকে কাবু করতে পারে না’।
করোনা আতঙ্ক থেকে বিশ্ববাসীকে রক্ষা করার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী SAARC দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করে। কিন্তু এই বৈঠকে শুধুমাত্র পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান উপস্থিত ছিলেন না। ইমরান খান তাঁর বদলে পাকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাফর মির্জাকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে পাকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তোলায় তা নিন্দার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তিনি করোনার বদলে কাশ্মীররে বিষয়টাকে প্রাধান্য দেয়। তাঁর কাছে করোনার আতঙ্কের চেয়ে পাকিস্তানের অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তাই বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
পাকিস্তানের এই স্বাস্থ্য মন্ত্রীর উপর কিন্তু ২০ লক্ষ মাস্ক অন্যদেশে বেআইনি ভাবে পাঠানোর দায় আছে। যার জন্য তাঁর উপর বর্তমানে কেস চলছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে পাকিস্তান কেন এই মহামারি পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র নিজেদের নিয়েই চিন্তা করছে।