মমতা ব্যানার্জীকে চিঠি দিয়ে পরামর্শ দিলেন দিলীপ ঘোষ, করলেন বেশ কিছু দাবি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আরও একবার মমতা ব্যানার্জীকে (Mamata Banerjee) চিঠি দিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip ghosh)। মারণ ভাইরাস করোনার জেরে সারা বিশ্ব তোলপাড়। মারা গিয়েছে কয়েক লক্ষ মানুষ। মৃতের সংখ্যা অনেক। তার পাশে ঘূর্ণিঝড় আমফান। যা পুরো বাংলাকে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। আর এই সঙ্কট মোকাবিলায় কয়েকটি প্রস্তাব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপবাবু কিছুদিন আগেও করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন।

চিঠিতে দিলীপবাবু লেখেন, আমফানে মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার টাকা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের আগামী তিন মাস এক হাজার টাকা করে সাহায্য দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। এ ছাড়া, জনস্বাস্থ্যের সঙ্কট মোকাবিলায় পূর্ণ সময়ের এক জন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিয়োগ, পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা-সহ আরও এক গুচ্ছ দাবি জানিয়েছেন তিনি।

Coronavirus slider

উল্লেখ্য, সোমবার পর্যন্ত বাংলায় যে ৪০৫ জন কোভিড পজিটিভ রোগী মারা গিয়েছেন। কোনও রোগীর শরীরে কোভিড পজিটিভ পাওয়া গেলেও তাঁর মৃত্যু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণেই হয়েছে তা নির্ধারণের জন্য গোড়া থেকেই অডিট করছিল রাজ্য সরকার। আরও দুটি স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ রয়েছে এদিনের বুলেটিনে। তা হল এখনও পর্যন্ত বাংলায় কোভিডের মৃত্যুহার মহিলাদের মধ্যে বেশি—৫.৪০ শতাংশ। পুরুষ রোগীদের মৃত্যুহার ৪.৪৮ শতাংশ। দুই, যে কোভিড আক্রান্তদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মধ্যে ৩৬.৪৬ শতাংশই ষাটোর্ধ্ব।

সোমবারের বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মারা গেছেন আরও ৯ জন। কাল, রবিবার মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩২৪। ফলে কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়ানোর কথা ছিল ৩৩৩ জন। কিন্তু সোমবার সন্ধেয় প্রকাশিত বুলেটিনের প্রথম পাতায় সবটা একসঙ্গে করে বলা হয়েছে, রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪০৫ জনের।

Amphan6

মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশের ধরন বদলানোর পাশাপাশি এই নিয়ে পরপর চার দিন ধরে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করোনা পজ়িটিভ রোগীর সংখ্যাটা ৪০০ পেরোচ্ছে। গতকাল রবিবারই এই সংখ্যা ছিল ৪৪৯, যা এ পর্যন্ত সর্বাধিক। আজ সোমবার সন্ধেয় স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২৬ জন। বুলেটিন বলছে, এই আচমকা বৃদ্ধির পরে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৬১৩। আক্রান্তের সংখ্যার এত দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সম্পর্কিত খবর