বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লকডাউনেই (lockdown) জব্দ হচ্ছে করোনাভাইরাস(corona virus)। এপর্যন্ত যে দেশটি কোভিড ১৯ রোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই ইতালিতেই(itlay) মিল তার প্রমাণ। সোমবার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ইতালিতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে ঠিকই কিন্তু কমছে সংক্রমণের হার। সেখানে এখন ওই রোগ ছড়াচ্ছে মাত্র ৪.১ শতাংশ হারে। ইতালির উত্তর লম্বার্ডি(NorthLombardy) অঞ্চলে ওই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সবচেয়ে বেশি মানুষ। সেখানে এই প্রথমবার কমেছে আক্রান্তের সংখ্যা।
সংক্রমণের হার যেমন কমছে, তার সঙ্গে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা। কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ছ’কোটি ইতালীয় (italy)। সেদেশের অসামরিক প্রতিরক্ষা পরিষেবা দফতরের প্রধান অ্যাঞ্জেলো বরেল্লি সোমবার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ১৫৯০ জন। অতিমহামারী শুরু হওয়ার পরে এক দিনে এতজনের রোগমুক্তি একটা রেকর্ড।
উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী পিয়ের পাওলো সিয়েরি ( Pierre Paulo Cieri) বলেন, “সর্বশেষ যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে দেখা যায়, গত সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার কমেছে।” একইসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, এখনও দেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ ওই রোগে আক্রান্ত। মৃত্যুর সংখ্যাও যথেষ্ট বেশি। সোমবার ইতালিতে মৃত্যু হয়েছে ৮১২ জন করোনা আক্রান্তের। এই নিয়ে সেদেশে অতি মহামারীতে মারা গেলেন ১১ হাহার ৫৯১ জন।
মহামারীর প্রকোপে ইতিমধ্যেই সারা পৃথিবীতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭,৫২,৮৩০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৬,২৩০ জনের। স্পেনে মৃতের সংখ্যা ৭৩৪০। মোট আক্রান্ত ৮৫,১৯৫ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬,৭৮০। নোভেল করোনাভাইরাসের (corona virus) উৎস দেশ চিনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১,৪৭০। মৃত্যু হয়েছে ৩৩০৪ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৫,৭০০ জন। করোনার কোপ চিন সামাল দিতে পারলেও ইউরোপীয় দেশগুলিতে এর জেরে মড়ক লেগেছে। জার্মানি-ফ্রান্স-ইতালি-স্পেন-ব্রিটেনের পাশাপাশি করোনাভাইরাস মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে ইরানেও। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪১,৪৯৫। মৃতের সংখ্যা ২৭৫৭। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৩,৯১১ জন।