বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ঘোষণার পর গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বীরভূমের দেউচা পাঁচামিতে (Deucha Pachami) কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু হয়। তবে মাসখানেক যেতে না যেতেই দেখা দেয় জটিলতা। স্থানীয়দের একাংশ ফের বাধা দেওয়ায় গত মঙ্গলবার থেকে থমকে যায় কাজ। অবশেষে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) উপস্থিতিতে কাটল সেই জট।
কেষ্টর (Anubrata Mondal) উপস্থিতিতে দেউচা পাঁচামিতে জটিলতার অবসান!
বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে দেউচা পাঁচামিতে কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরুর ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুযায়ী গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু হলেও ফের দেখা দেয় জটিলতা। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার, পরপর দু’দিন প্রশাসনিক কর্তারা গ্রামে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বৈঠক করেন।
এখনও যারা ক্ষতিপূরণ এবং চাকরি পাননি, দ্রুত তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রতও। প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, কেষ্টর উপস্থিতিতে আপাতত জট কেটেছে, ফের কাজ শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুনঃ দোলের আগেই লক্ষ্মীলাভ! একধাক্কায় ৫০০০ টাকা বাড়ল ‘এই’ রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন
এই বিষয়ে তৃণমূল (TMC) নেতা বলেন, চাঁদা মৌজার তিনটি স্থানে অসুবিধা দেখা দিয়েছিল। বাইরের লোকেরা উস্কানি দিয়ে কাজ বন্ধ করেছিল বলে দাবি করেন তিনি। পরবর্তীতে ফের স্থানীয়রা কাজ শুরু করেছেন বলে জানান অনুব্রত। একইসঙ্গে দাবি করেন, এই কাজ সম্পন্ন হলে পশ্চিমবঙ্গের চেহারা বদলে যাবে।
বিরোধীদের নিশানা করে কেষ্ট (Anubrata Mondal) এদিন বলেন, ‘দেউচা পাঁচামির কাজ সম্পূর্ণ হলে রাজ্যের চেহারা পাল্টে যাবে। এটা অনেকে চান না। সেই কারণে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে’। উল্লেখ্য, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীও বলেছিলেন, দেউচা পাঁচামিতে যা কয়লা আছে, তাতে রাজ্যে আগামী ১০০ বছর বিদ্যুতের কোনও খামতি থাকবে না।