বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজস্থানের সিরোহি জেলায় বাবাকে বাঁচাতে নিজের জীবন বাজি রাখলেন এক ১৪ বছরের মেয়ে। ভাল্লুকের আক্রমণের শিকার হন এক কৃষক। এর পরে তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে ভাল্লুকের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মেয়েটি ভালুকের সাথে লড়াই করতে থাকে এবং তাকে একটা সময় পর ভাল্লুকটিকে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে।
জানা গিয়েছে, সিরোহির রেভদার শহরের সিলদার গ্রামে সোমবার গভীর রাতে একটি ভালুক কৃষকের ওপর হামলা চালায় । ভালুক দেখে কুকুরগুলো জোরে চিৎকার করতে থাকে। এই অবস্থায় ১৪ বছরের মেয়ে জোছনা দৌড়ে বেরিয়ে এসে বাবাকে বাঁচাতে ভাল্লুকের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ততক্ষণে ভাল্লুক তার বাবা কর্ম রাম চৌধুরীকে মারাত্মকভাবে জখম করে ফেলেছে। গুরুতর আহত ওই কৃষককে গুজরাটের মেহসানা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জোছনা জানিয়েছেন, “হঠাৎ দেখি এক ভাল্লুক বাবাকে খাট থেকে ফেলে দিয়েছে। বাবার উপর বসে ভাল্লুকটি তার শরীরে আঁচড়াচ্ছে। প্রথমে প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলেও একটি লাঠি নিয়ে তার উপর আমি আক্রমণ করি।আঘাত করলে আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠে সে।ভাল্লুকটি আমার দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ভাল্লুক আমাদের দিকে আসতে দেখে মাও ঢিল ছুড়তে লাগলো আর আমি লাঠি দিয়ে ভাল্লুকের সাথে যুদ্ধ করতে থাকলাম। তার সাথে লড়াই করা ছাড়া আমার কোন উপায় ছিল না। পিছু হটলে বাবাকে মেরে ফেলত। সাত-আট মিনিট ভাল্লুকের সাথে যুদ্ধ করলাম। এরপর ভাল্লুকটি সেখান থেকে পালিয়ে গেলো।”
সাহসী জোছনা জানান, ভাল্লুক তার বাবাকে আক্রমণ করলে ভাল্লুকের সঙ্গে তার সংঘর্ষ হয়। মনে একটাই পণ ছিল যে তার সাথে যাই ঘটুক না কেন সে তার বাবার কিছু হতে দেব না! ১৪ বছর বয়সী এই কিশোরীর সাহসিকতাকে স্যালুট জানিয়েছে সবাই। বাবার জন্য তার এই মরণপণ লড়াই মন কেড়ে নিয়েছে গ্রামবাসীদের।