বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ভারতেরই (India) একটি প্রতিবেশী দেশে বিপুল সোনার ভান্ডারের খোঁজ মিলল। মূলত, চিনে (China) এক নতুন খনির সন্ধান মিলেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, পূর্ব চিনের শ্যানডং প্রদেশেই হদিশ মিলেছে ওই বহুমূল্য ধাতুর। উল্লেখ্য যে, শ্যানডং রীতিমতো খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ একটি এলাকা। ওই প্রদেশে সোনার একাধিক খনিও রয়েছে। তবে, এবার সেখানেই আরও একটি সোনার খনি আবিষ্কৃত হয়েছে।
পাশাপাশি, নতুন সন্ধান পাওয়া ওই খনিটি শ্যানডঙের রুশান এলাকায় থাকা এখনও পর্যন্ত বৃহত্তম স্বর্ণখনি হিসেবেও বিবেচিত হয়েছে। মূলত, শ্যানডঙের ওই এলাকায় নতুন খনির সন্ধান যে মিলতে পারে, তা আগে থেকেই অনুমান করেছিলেন ভূ-তত্ত্ববিদেরা। এমতাবস্থায়, দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ পর্যবেক্ষণের পর ওই খনির খোঁজ পাওয়া যায়। এদিকে, শ্যানডঙের ওই সোনার খনির নাম হল শিলাওকোউ খনি।
ইতিমধ্যেই চিনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এই খনিতে আনুমানিক ৫০ টন সোনা থাকতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন যে, চিনের সামগ্রিক অগ্রগতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এই খনিটি। পাশাপাশি, এখনও পর্যন্ত চলতি বছরে আবিষ্কৃত সোনার খনিগুলির মধ্যে শিলাওকোউ খনিটিই সবচেয়ে বৃহত্তম।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এই মুহূর্তে বিশ্বের সোনা উৎপাদনকারী দেশগুলির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চিন। শুধু তাই নয়, বিশ্বের মোট স্বর্ণ ভান্ডারের অন্তত ৯ শতাংশ এই চিনেই রয়েছে। মূলত, ওই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে অজস্র সোনার খনি। তাই, চিনের অর্থনীতির উন্নয়নেও সোনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পাশাপাশি, চিনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ফেব্রুয়ারি মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে, সমগ্র চিনে খনিজ সোনার পরিমান হল ১ হাজার ৮৬৯ টন। যার অধিকাংশই মজুত রয়েছে শ্যানডঙে।
এদিকে, শ্যানডঙের স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, শিলাওকোউ খনিতে অপরিশোধিত অবস্থায় যে সোনার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে তা অত্যন্ত উচ্চ মানের। অর্থাৎ সহজেই সেগুলিকে পরিশোধন করে কাজে লাগানো যাবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সোনার উৎপাদনে চিন এগিয়ে থাকলেও বৃহত্তম সোনার ভান্ডারের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকায় মোট খনিজ সোনার পরিমান হল ৮ হাজার ১৩৩ টন। অপরদিকে, চিনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সোনা উৎপন্ন হয় অস্ট্রেলিয়ায়।