বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাতারাতি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে পেঁয়াজের দাম। এমনকি এই দাম নাকি আরও বাড়তে পারে বলে খবর। একলাফে এতটা দাম বৃদ্ধিতে রীতিমত ফাঁপরে পড়েছে বাংলাদেশের (Onion Price In Bangladesh)। কারণ কয়দিন যে দেশ বিশ্বকাপ জিততে না পারায় বাংলাদেশে খুশির বন্যা বয়ে গেছিল সেই ভারত (India) এখন পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে। দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে রপ্তানি। আর তাতেই রীতিমত হাহাকার শুরু হয়েছে পড়শি দেশটির হেঁশেলে।
এর আগে বাংলাদেশে খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা। ভারত রপ্তানি বন্ধ করতেই কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে সেই দাম বেড়ে হয় ২০০ টাকায়। কিছু কিছু জায়গায় তো ২৫০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে বলে খবর। এদিকে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম ৮৫-৯০ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮০ টাকা কেজি দরে।
এইদিন হিলির এক পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। আমদানিকারকদের নিকট বেশি দামে কেনায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’ ওদিকে স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ বলেন, ‘আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। তাই দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।’
আরও পড়ুন : ফের দুর্ঘটনার কবলে ভারতীয় রেল, পরপর লাইনচ্যুত ট্রেন! ঘুরপথে ছুটছে হাওড়ার বহু এক্সপ্রেস
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২৫ লক্ষ টনের বেশি। দেশটিতে উৎপন্ন হয় প্রায় ৩৬ লক্ষ টন পেঁয়াজ। তবে এর পুরোটা ব্যবহার করতে পারেনা বাংলাদেশ সরকার। ক্ষেত থেকে হিমঘরে সংরক্ষণ করার মাঝেই প্রায় ৪০ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে প্রতি বছর প্রায় ১২ লক্ষ পেঁয়াজ বাইরে থেকে আমদানি করে সীমান্ত পারের সরকার। যার বেশিরভাগটাই যায় ভারত থেকে।
আরও পড়ুন : ঋণগ্রহীতাদের জন্য বড় খবর! রেপো রেট নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত নিল RBI, কতটা পড়বে প্রভাব?
এমন পরিস্থিতিতে ভারত রপ্তানি বন্ধ করলে তার সরাসরি প্রভাব পড়ে বাংলাদেশে। এর আগে ২০১৯ সালে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলে প্রায় ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল পেঁয়াজ। এবছর আগামী মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলে দাম আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করছে সেদেশের ব্যবসায়ীরা। তারপর থেকেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বাংলাদেশের মানুষজনদের কপালে।