বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারত পাকিস্তান সংঘাতের মাঝেই বাংলাদেশও (Bangladesh) ক্রমেই মাত্রা ছাড়াচ্ছিল। শেখ হাসিনার পতনের পর মহম্মদ ইউনূও অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ভারত বিরোধিতার সুর চড়া হচ্ছিল অনেকদিন ধরেই। উপরন্তু চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে ভারতের ‘সেভেন সিস্টারস’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে নিজেই বিপাকে পড়েছেন ইউনূস। এবার বাংলাদেশকে (Bangladesh) উচিত জবাব দিতে বড় পদক্ষেপ নিল নয়াদিল্লি।
স্থলপথে বাংলাদেশের (Bangladesh) পণ্য রপ্তানি বন্ধ করল ভারত
ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়া হল বাংলাদেশের (Bangladesh)। পোশাক থেকে খাবার, একগুচ্ছ বাংলাদেশি পণ্য স্থলবন্দর দিয়ে আর প্রবেশ করবে না। শনিবারই বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে একথা। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রকের অধীনে থাকা বৈদেশিক বাণিজ্য দফতরের তরফে জারি করা হয়েছে একটি বিজ্ঞপ্তি। সেখানে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, ভারত এবং বাংলাদেশের (Bangladesh) সীমান্তবর্তী যে অঞ্চলগুলি অর্থাৎ মিজোরাম, অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংরাবান্ধা এবং ফুলবাড়ি শুল্ককেন্দ্র দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না বাংলাদেশের বেশ কিছু পণ্য।
কোন কোন পণ্য রকম নিষেধাজ্ঞা: এর মধ্যে রয়েছে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য, তুলো, সুতির পোশাক, প্লাস্টিক, পিভিসি দিয়ে তৈরি বস্তু, রঞ্জকের মতো পণ্য। তবে মাছ, ভোজ্যতেল, এলপিজির উপরে কোনো নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়নি। সমুদ্র বন্দর দিয়েও পণ্য রপ্তানিতে কোনো বাধা থাকছে না বলেই খবর। যদিও এতে বাংলাদেশের (Bangladesh) কোনো সুরাহা হচ্ছে না।
আরো পড়ুন : RG Kar কাণ্ডে ছেড়েছিলেন তৃণমূল, SSC ইস্যুতে ফের সরব জহর সরকার, বললেন, ‘৫০ বছরে এমন দুর্নীতি দেখিনি’
কেন এই পদক্ষেপ ভারতের: বাংলাদেশের প্রায় ৯৩ শতাংশ পণ্য রপ্তানি হয় স্থলবন্দর দিয়েই। সেই পথটাই বন্ধ করে দেওয়ায় পণ্য রপ্তানিতে বড়সড় সমস্যা তৈরি হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অবশ্য বাংলাদেশের (Bangladesh) এক সিদ্ধান্তের কারণেই এই পালটা চাল দিয়েছে ভারত। কেন্দ্রের তরফে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করা হয়েছিল। এর জেরে ভারতের রপ্তানিকারক সংস্থাগুলি সমস্যার মুখে পড়ছে বলে জানানো হয়েছিল। তবে নেপাল এবং ভুটানে বাংলাদেশি (Bangladesh) পণ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছিল ভারত সরকারের তরফে।
আরো পড়ুন : “ব্যর্থ” হয়েছে চিনা প্রতিরক্ষাও! পাকিস্তানকে ঘোল খাইয়ে ৬০০-রও বেশি ড্রোন ধ্বংস করেছে ভারত
ভারতের এই সিদ্ধান্তের পরেই স্থলপথে ভারত থেকে সুতো আমদানি বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ। এই পণ্য পাঠাতে হলে তা সমুদ্রপথে পাঠাতে হবে ভারতকে। বাংলাদেশকে উচিত শিক্ষা দিতেই এবার পালটা চাল দিল ভারত। আর তাতেই পড়শি দেশের পণ্য রপ্তানি বড়সড় ধাক্কা খাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।