বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিগত কয়েক বছরে একের পর এক নজির তৈরি করেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ISRO। এদিকে, সম্প্রতি ISRO-র LVM3-M6 রকেট মার্কিন কোম্পানি AST স্পেসমোবাইলের ব্লু বার্ড ব্লক-২ স্যাটেলাইটকে লো আর্থ অরবিটে (LEO) সফলভাবে স্থাপন করে ইতিহাস তৈরি করেছে। এই বিরাট অর্জন বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। এর পাশাপাশি, এই বছরইস্পেস ডকিং, মানব মহাকাশযানের প্রস্তুতি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মতো অনেক সাফল্য অর্জিত করেছে ISRO। যা বিশ্বকে মহাকাশ সেক্টরে ভারতের শক্তিশালী উপস্থিতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ISRO-র মাধ্যমে স্পেস মার্কেটে ভারতের দাপট:
এদিকে, ISRO-র এই সাফল্য আবারও বিশ্ব মহাকাশ বাজারে ভারতের বিশ্বাসযোগ্যতাকে আরও শক্তিশালী করেছে। ২০১৪ সাল থেকে, ISRO ৩৪ টি দেশের জন্য ৩৯০ টিরও বেশি বিদেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে আমেরিকার ২৩২টি উপগ্রহ। যা যেকোনও দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি।
Since 2014, ISRO has launched over 390 foreign satellites for 34 countries—with a whopping 232 from the United States, the highest from any nation.
This deep trust from the world’s most competitive space market underscores the thriving strategic partnership between India and… pic.twitter.com/R7o1DgV3Rd
— India in USA (@IndianEmbassyUS) December 25, 2025
একসঙ্গে ১০৪ টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে বিশ্বরেকর্ড: আমেরিকায় ভারতীয় দূতাবাস সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘X’-এ এই কৃতিত্ব শেয়ার করে জানিয়েছে, ‘ISRO বিশ্বব্যাপী তার প্রযুক্তিগত দক্ষতার জন্য স্বীকৃতি তার সাশ্রয়ী পরিষেবা এবং কঠিন চ্যালেঞ্জগুলির ধারাবাহিক সফল সমাপ্তির ফলে এসেছে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ ২০১৭ সালের ঐতিহাসিক মিশনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত। যখন ISRO একক উৎক্ষেপণে ১০৪ টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে বিশ্বরেকর্ড স্থাপন করেছিল।’
আরও পড়ুন: টাটা গ্রুপের এই কোম্পানি করছে স্বাস্থ্যের ক্ষতি! অভিযোগ সামনে আসতেই পতন শেয়ারের দামে
স্পেস ডকিংয়ে ভারত চতুর্থ দেশ: জানিয়ে রাখি যে, চলতি বছর অর্থাৎ, ২০২৫ সালের প্রথম দিকে ভারত বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে স্পেস ডকিংয়ের ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে। স্পেস ডকিং হল ২ টি মহাকাশযানকে মহাকাশে একত্র করে তাদের সুনির্দিষ্টভাবে সংযুক্ত করার প্রক্রিয়া। যাতে তারা একটি একক ইউনিট হিসেবে কাজ করে। ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে উৎক্ষেপণ করা SPADEX মিশন (PSLV-C60)-এর অধীনে ২ টি ছোট স্যাটেলাইটের (SDX-01 এবং SDX-02) সফলভাবে ডকিং সম্পন্ন হয় চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি। এর ফলে আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের পরে ভারত বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে যারা মহাকাশে ডকিং করতে সক্ষম হয়েছে। ভারতীয় মহাকাশ স্টেশন এবং চাঁদে ভবিষ্যতের মানব অভিযানের জন্য এই প্রযুক্তি অপরিহার্য। পরবর্তীকালে আনডকিং, পাওয়ার ট্রান্সফার এবং রোলিং পরীক্ষাগুলিও সফল হয়েছিল।
গগনযান মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা: এছাড়াও, চলতি বছর, প্রথম ভারতীয় মহাকাশচারী হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছেছিলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। তিনি ২০২৫ সালের জুন মাসে অ্যাক্সিওম-৪ মিশনের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছে যান এবং ১৮ দিন সেখানে অবস্থান করেছিলেন। ব্যাকআপ ক্যাপ্টেন ছিলেন প্রশান্ত বালাকৃষ্ণান নায়ার। এটি গগনযান মিশনের জন্য একটি মূল্যবান অভিজ্ঞতা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এদিকে, ২০২৫ সালে ISRO-র ১০০ তম উৎক্ষেপণ এবং নেভিগেশন জোরদার করা হয়েছে। ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে GSLV-F15/NVS-02 উৎক্ষেপণ শ্রীহরিকোটা থেকে ISRO-র ১০০ তম উৎক্ষেপণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। NVS-02 NAVIC তথা ভারতীয় আঞ্চলিক নেভিগেশন সিস্টেমকে শক্তিশালী করেছে।












