বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশের (India) অর্থনীতির প্রসঙ্গে এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে, ভারতের দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে এবার বিরাট বৃদ্ধি ঘটেছে। শুক্রবার RBI কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, আগামী ২৭ জুন, ২০২৫ তারিখে শেষ হওয়া সপ্তাহে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার ৪.৮ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ৭০২.৭৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

ভারতের (India) বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে বিরাট উত্থান:
এর আগে, গত ২০ জুন, ২০২৫ তারিখে শেষ হওয়া সপ্তাহে এটি ৬৯৭.৯৩ বিলিয়ন ডলারের স্তরে ছিল। জানিয়ে রাখি যে, ভারতের (India) বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে এহেন উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি রুপির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। এর পাশাপাশি, গ্লোবাল ট্রেড সহজ হয়ে উঠবে।
ফরেন কারেন্সি অ্যাসেটে বৃদ্ধি: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের (India) বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার রেকর্ড সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল। ওই সময়ের মধ্যে, এটি ৭০৪.৮৮৫ বিলিয়ন ডলারের স্তর স্পর্শ করেছিল। এখন আবারও এতে একটি ভালো বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে। এদিকে, গত সপ্তাহে, ফরেন কারেন্সি অ্যাসেট ৫.৭৫ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ৫৯৪.৮২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ইউরো, পাউন্ড এবং ইয়েনের মতো মুদ্রার ওঠানামাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর অর্থ হল ওই মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধি এই পরিমাণকে প্রভাবিত করেছে।
আরও পড়ুন: ১২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে রিচার্জ প্ল্যানের দাম! Jio-Airtel-Vi গ্রাহকদের ফের টান পড়বে পকেটে
গোল্ড রিজার্ভে পতন: তবে, এই সময়ের মধ্যে গোল্ড রিজার্ভে সামান্য হ্রাস পরিলক্ষিত হয়েছে। RBI-এর তথ্য অনুসারে, সোনার মজুত ১.২৩ বিলিয়ন ডলার কমে ৮৪.৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এদিকে, স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস (SDR) ১৫৮ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি বর্তমানে ১৮.৮৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। জানিয়ে রাখি যে, বিশ্ববাজারে সোনা এবং অন্যান্য মুদ্রার দামের ওঠানামার প্রক্রিয়া স্বাভাবিক। তা সত্বেও, মোট বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতির জন্য একটি ভালো লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
আরও পড়ুন: ৩ “শত্রু”-র বিরুদ্ধে লড়াই! অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন কারা সাহায্য করে পাকিস্তানকে? জানাল ভারতীয় সেনা
পদক্ষেপ গ্রহণ করে RBI: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রুপির স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর বাজারে হস্তক্ষেপ করে। এর জন্য, RBI ডলার বিক্রি বা কেনার মতো পদক্ষেপ নেয়।কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের এই হস্তক্ষেপ কোনও নির্ধারিত লক্ষ্য বা সীমার ওপর ভিত্তি করে নয়, বরং বাজার পরিস্থিতি দেখে নির্ধারিত হয়। যেটি রুপিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি ভারতীয় (India) বাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থাও বৃদ্ধি করে।