বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আরো একবার মোদির (narendra modi) ভারতের কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে লাল চীন (china)৷ খেলনা বাজারের একাধিপত্যকে দখল করতে ভারতের গ্রেটার নয়ডায় তৈরি হচ্ছে সুবিশাল টয় সিটি। এতদিন যে হরেক রকম খেলনা চীন থেকে আমদানি করা হত এবার তা তৈরি হবে দেশেই। পাশাপাশি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হবে সেই সব খেলনা।
চীন ও ভারতের অশান্ত সীমান্ত পরিস্থিতিতে চিনা দ্রব্য বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন ‘থ্রি ইডিয়টস’ খ্যাত সোনম ওয়াংচুক । ভারত-চিন সীমান্তে সৃষ্ট উত্তেজনার কথা উল্লেখ করে ভারতীয় নাগরিক হিসাবে সকলকে নিজের দায়িত্ব পালন করার আর্জি জানিয়েছেন ‘র্যাঞ্চো’। সেই শুরু তারপর থেকে চীনকে একের পর এক অর্থনৈতিক ধাক্কা দিয়েছে ভারত। ৫৯ টি চীনা অ্যাপ বন্ধ করে যেমন টেক বাজারকে চীনের দখল মুক্ত করেছে ভারত, এবার খেলনা বাজারের একাধিপত্যও খর্বের পথে দেশ।
যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি তৈরি করতে চলেছে এই সুবিশাল টয় সিটি। সংস্থার তরফ থেকে ইতিমধ্যেই খেলনা প্রস্তুতকারক ভারতীয় সংস্থাদের সেখানে আহ্বান করা হয়েছে। প্রায় ১০০ একর জমিতে ৮০ টির বেশী খেলনা কারখানা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। কর্মসংস্থান হবে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের। ভবিষ্যতে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ এখানে কাজ করতে পারবেন বলে আশাবাদী উদ্যোক্তারা।
ভারতে এই বিপুক পরিমাণ খেলনা তৈরি হলে চীনকে যেমন অর্থনৈতিক ধাক্কা দেওয়া যাবে তেমনই আত্মনির্ভর হবে দেশ। কমবে আমদানির পরিমান, শক্ত হবে ন্যুব্জ অঅর্থনীতি। আমদানী কর না থাকায় দাম কমবে খেলনারও।