বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় ছিলেন ভারতীয় বোলাররা। ফলে তৈরি হলো না কোনও নাটকীয় মুহূর্ত। পঞ্চম দিনে জয়ের জন্য ১১৯ রান তুলতে হতো ইংল্যান্ডকে। হেসেখেলে কোন উইকেট না খুইয়ে সেই রান তুলে দিলেন জনি বেয়ারস্টো এবং জো রুট। ১৭৩ বলে ১৪২ রান করে অপরাজিত রইলেন প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। অন্ত ফর্মে থাকা জনি বেয়ারস্টো অপরাজিত থাকলেন ১৪৫ বলে ১১৪ রান করে।
এই রান তাড়া করে জিততে গেলে ইতিহাস লিখতে হতো জনি বেয়ারস্টোদের। এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত এজবাস্টনের মাটিতে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড যা ছিল সেটি হলো ২৮৪। আর গত ৩৫ বছরে ভারতের বিরুদ্ধে চতুর্থ ইনিংসে কোন দল ২৫০ এর বেশি কোনও স্কোর তাড়া করে জিততে পারেনি। ফলে ইংল্যান্ড এই ম্যাচ জিতে দুটি বড় রেকর্ড গড়লো।
জনি বেয়ারস্টো আগেই হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন যে ভারত যত বড় টার্গেটে দিক না কেন তারা রান তাড়া করতে পিছুপা হবেন না। মাঝে দুই রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা বেকায়দায় পড়েছিলেন, কিন্তু জনি বেয়ারস্টো এবং জো রুটের অসাধারণ পার্টনারশিপ ইংল্যান্ডকে ম্যাচ জিতিয়ে দিল। পঞ্চম উইকেটে তারা ২৬৯ পার্টনারশিপ গড়ে ফেলেন।
এই প্রথমবার ইংল্যান্ড সাড়ে তিনশোর উপর রান চতুর্থ ইনিংসে তাড়া করে জিতলো। অনেকে এই হারের জন্য ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং বিপর্যয়কে দায়ী করছেন। যদিও এই ম্যাচের ফলে ভারতের বা ইংল্যান্ডের আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্টস টেবিলে কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। জিতেও ৭ নম্বরের রইলো ইংল্যান্ড। ভারতও এখনও ৩ নম্বর জায়গা ধরে রেখেছে। কিন্তু শীর্ষে থাকা অস্ট্রেলিয়া (৭৭.৭৮ জয়ের শতাংশ) এবং দ্বিতীয় স্থানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার (৭১.৪৩ জয়ের শতাংশ) থেকে অনেকটাই পিছিয়ে গেল ভারত (৫৩.৪৩)।