বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে পাকিস্তান (Pakistan) ও চিন (China) সীমান্তে ক্রমশ নজরদারি বাড়িয়েছে ভারত (India)। শুধু তাই নয়, এখন ভারত এমন ১২ টি “গুপ্তচর বিমান” নিয়ে কাজ করছে, যেগুলি আকাশে চিন ও পাকিস্তানের প্রতিটি গতিবিধির ওপর নজর রাখবে। মূলত ভারত এখন আপডেটেড দেশীয় এয়ারবর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল এয়ারক্রাফ্ট তৈরি করতে এবং ভারতীয় বিমান বাহিনীতে এগুলি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই বিমানগুলি চিন ও পাকিস্তান সীমান্তে নজরদারি এবং শনাক্তকরণের ক্ষমতা বাড়াবে এবং সেইসাথে শত্রু দেশের জেটের সাথে যুদ্ধের সময়ে সরাসরি সহায়তা করবে।
DRDO এবং বায়ুসেনা যৌথভাবে প্রযুক্তি তৈরি করছে: উল্লেখ্য যে, DRDO এবং ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স যৌথভাবে AEW&C এয়ারক্রাফটের ৬ টি মার্ক-১এ এবং ৬ টি মার্ক-২ সংস্করণ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে। এর মধ্যে ৩ টি বিমান ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে এবং ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিমান বাহিনীতে সেগুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে, সূত্র জানিয়েছে যে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আগামী সপ্তাহে ৬ টি মার্ক-১এ বিমানের জন্য প্রয়োজনীয়তার অনুমোদন (AoN) নেবে। উল্লেখ্য যে, অ্যারে অ্যান্টেনা বেসড রাডার, ইলেকট্রনিক ও সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেমও বসানো হবে এসব বিমানে। এতে খরচ হবে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। একটি সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, “এই ৬ টি AEW&C বিমান হবে প্রথম তিনটি Embraer-145 জেট-ভিত্তিক নেট্রাসের মতো। যার ২৪০-ডিগ্রি রাডার কভারেজ রয়েছে। পাশাপাশি এতে রাডারের জন্য আরও ভালো সফ্টওয়্যার এবং নতুন গ্যালিয়াম নাইট্রাইড-বেসড টিআর (ট্রান্সমিট/রিসিভ) মডিউলের মতো আরও উন্নত প্রযুক্তিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।”
আরও পড়ুন: “এই স্থান অবিলম্বে ত্যাগ করুন…”, ভারতীয়দের এই দেশে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিল বিদেশ মন্ত্রক
জানিয়ে রাখি যে, ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারি মাসে সীমান্তে বালাকোট বিমান হামলার পর পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানগুলির সাথে লড়াই চলাকালীন ভারতীয় বিমান বাহিনী আরও AEW&C বিমানের প্রয়োজন অনুভব করেছিল। এরপর পূর্ব লাদাখে চিনের সঙ্গে চলমান সংঘাত এই প্রয়োজনকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
পাকিস্তান ও চিন অনেক এগিয়ে: উল্লেখ্য যে, পড়শি দেশ পাকিস্তানের কাছে এরকম ১২টি বিমান রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের কাছে ১১ টি সুইডিশ Sub-2000 Eriye AEW&C এবং চিনা কারাকোরাম ঈগল ZDK-03 AWACS বিমান রয়েছে। অপরদিকে চিন এক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী। ওই দেশের কাছে প্রায় ৩০ টি AEW&C বিমান রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে Kong Jing-2000 “Mainring”, KJ-200 “Moth” এবং KJ-500-এর মতো বিমান।