বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি ভারত (India) পাকিস্তানের বিরুদ্ধে “অপারেশন সিঁদুর” সম্পন্ন করেছে। যেখানে চিন পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিল। রিপোর্টে আরও প্রকাশিত হয়েছে যে চিন তার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভারতের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করেছিল এবং পাকিস্তানের সাথে সেই সংক্রান্ত তথ্যও ভাগ করে নিয়েছিল। এমতাবস্থায়, ভারত এবার চিনকে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সামরিক সরঞ্জামে চিনা উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত করে সেগুলিকে অপসারণের জন্য একটি পর্যালোচনা শুরু করতে চলেছে। এই উদ্যোগটি ২০২৫ সালের প্রতিরক্ষা সংস্কারের অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত (India):
ড্রোন এবং অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেমে চিনা যন্ত্রাংশের অভিযোগ: মূলত, ভারতের (India) প্রতিরক্ষা সরঞ্জামে চীনা যন্ত্রাংশ ব্যবহারের ওপর কঠোর নিয়ম রয়েছে। তা সত্বেও কোম্পানিগুলি তৃতীয় দেশগুলির মাধ্যমে এই যন্ত্রাংশগুলি আনছে। যাতে তাদের চিনা উৎস লুকনো যায়। এমতাবস্থায়, ড্রোন এবং অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেমে চিনা যন্ত্রাংশের উপস্থিতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই, এগুলি “এলিমিনেট” করা হতে পারে।
এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে:
১. ভারত (India) যদি তার অস্ত্র থেকে চিনা যন্ত্রাংশ সরিয়ে ফেলে, তাহলে কোম্পানিগুলি চিনা যন্ত্রাংশ কেনা বন্ধ করে দেবে। এতে এই যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী চিনা কোম্পানিগুলি সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়বে। এর ফলে চিনও নিশ্চিতভাবে প্রভাবিত হবে।
আরও পড়ুন: ভারতের অর্থনীতিতে বড় চমক! বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে হল বিপুল বৃদ্ধি, কী জানাল RBI?
২. চিনে তৈরি অস্ত্রের যন্ত্রাংশে ত্রুটির অভিযোগ প্রায়শই পাওয়া যায়। এই যন্ত্রাংশগুলি অস্ত্রকে দুর্বল করে তোলে। এই ধরনের লুকনো দুর্বলতা নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু, এখন ভারত (India) এই নিরাপত্তা দুর্বলতা দূর করবে।
আরও পড়ুন: ১২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে রিচার্জ প্ল্যানের দাম! Jio-Airtel-Vi গ্রাহকদের ফের টান পড়বে পকেটে
স্থানীয় কোম্পানিগুলি উৎসাহ পাবে: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, সেনা ডিজাইন ব্যুরো ইতিমধ্যেই সরবরাহকারীদের চিনা যন্ত্রাংশ সম্পূর্ণরূপে অপসারণ করতে বলেছে। “মেক ইন ইন্ডিয়া” উদ্যোগের অধীনে, সেনাবাহিনী সেইসব ভারতীয় (India) কোম্পানিগুলিকে সহায়তা করছে যারা স্থানীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ তৈরি করতে পারে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে, চিনা যন্ত্রাংশ ব্যবহারের কারণে মন্ত্রক ড্রোন ক্রয়ের আদেশ বাতিল করে। কারণ সেটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।